বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে হিমালয়কন্যা নেপাল দেখে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের দুই বাইকার।
‘সমুদ্র সৈকত থেকে হিমালয়কন্যা’ শীর্ষক স্লোগান নিয়ে জুন সাদিকুল্লাহ ও এ কে এম আবিদুর রহমান ১৪ দিনে পাড়ি দিয়েছেন ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ।
গত ২৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে ৭ জানুয়ারি বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তারা। এরপর ৮ জানুয়ারি ভোরে ঢাকায় পৌঁছান।
জুন সাদিকুল্লাহ জানান, বেনাপোল থেকে মোটরসাইকলে চালিয়ে প্রথমে তারা কলকাতা যান। এরপর সেখান থেকে পাটনা। পাটনায় ভারতের বীরগঞ্জ সীমান্ত ও নেপালের রাখসুল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে যাত্রার চতুর্থ দিনে রাজধানী কাঠমান্ডু পৌঁছান।
এরপর আবার কলকাতা হয়ে বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশে ফেরেন।
মোটরসাইকেল চালিয়ে ভ্রমণপথে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন জুন ও আবিদ।
তারা বলেন, যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাদের জন্যই এমন যাত্রা। যাত্রাপথে পুরোটা সময় তারা বাংলাদেশের কক্সবাজারকে তুলে ধরেছেন। কলকাতা এবং নেপালে যাত্রাকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়ানোর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ভ্রমণে অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছেন জানিয়ে জুন বলেন, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে অনেকেরই আগে ধারণা ছিলো না। এখন অনেকেই কক্সবাজার ভ্রমণে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
যাত্রাপথে বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি নিরাপদ মোটরসাইকেল চালানো নিয়েও ক্যাম্পেইন করেছেন তারা।
জুন ও আবিদ মাসখানেক চেষ্টা চালিয়ে অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন থেকে কারনেট সুবিধা নিয়ে নিজেদের মোটরবাইকে করে এই যাত্রা করেছিলেন। রাজস্ব বোর্ড ও কাস্টমসের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেছেন তারা।
জুন উল্লেখ করেন, নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে আতিথেয়তা তারা উপভোগ করেছেন।
এর আগে মোটরসাইকেলে ৫ দিনে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করে রেকর্ড গড়েছিলেন সাদিকুল্লাহ। একদিনে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পৌঁছানোর রেকর্ডটিও তার।
এ যাত্রায় তাদের পার্টনার ছিলো রাসেল ইন্ড্রাস্ট্রি লিমিটেড এবং ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘ক্লাব কেপিআর’। ইঞ্জিন ওয়েল পার্টনার ‘এমজেএল বাংলাদেশ’ আর মোবাইল পার্টনার চীনা মোবাইল কোম্পানি হুয়াই।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।