২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত


শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা তালিকা করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলেও বাঙালিকে দাবিয়ে রাখতে পারি নি। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করে দেশকে ঠিকই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

বক্তাগণ বলেন, শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক, চিকিৎসক,প্রকৌশলীসহ এদেশের প্রায় ১২০০ নেতৃস্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের রাতের আধারে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। শহিদ
বুদ্ধিজীবী তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছে তাদের অবদান, তাদের আত্মত্যাগ সম্পর্কে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অবহিত করাতে পারলেই বুদ্ধিজীবীদের আত্ম শান্তি পাবে।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে ১৪ ডিসেম্বর সকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তাগণ একথা বলেন। একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা

সভাপতি, লোকগবেষক জনাব মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাগন আরো বলেন, পাকিস্তানি বাহিনি ও তাদের এদেশীয় দোসরেরা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বাংলাদেশকে মেধা শূন্য করার জন্য পরিকল্পিতভাবে
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো।

বক্তাগণ আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা গেলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে। আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের বক্তব্য পেশ করেন, একাডেমীর নির্বাহী ও
কক্সবাজার পিটিআই-এর প্রাক্তন সুপার রাজবিহারী চৌধুরী, একাডেমীর সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী আবুল কালাম কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হাসান আহমদ সোবহানী, একাডেমীর নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান সিকদার প্রমুখ। পরে রুহুল কাদের বাবুল ও কল্লোল দে চৌধুরী কবিতা আবৃত্তি করেন।

এর আগে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। একাডেমী সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একাডেমীর নির্বাহী ও সাধারণ

সদস্যবৃন্দ।

বিজয় দিবসের কর্মসূচি আগামী ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে এক সাগর
রক্ত পেরিয়ে আমরা এই বিজয় অর্জন করেছি। বাংলা মাকে শত্রুমুক্ত করার জন্য ৩০ লক্ষ শহিদ হয়েছে। দুই লক্ষ মা-বোন তাদের উজ্জৎ-আভ্রু হারিয়েছে।

কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মরণ করবে।

একাডেমী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মহান বিজয় দিবস পালন করবে। এ উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে স্বাধীনতার শহিদের শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং পরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচীসমূহে সাহিত্য একাডেমীর সংশিষ্ট সকলসহ জেলার কবি-সাহিত্যিক, সাহিত্যামোদিদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল আহবান জানিয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।