মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আগেই হানাদারমুক্ত হয়েছিল কক্সবাজার। জেলার বীর সন্তানদের প্রতিরোধের মুখে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বরের আগেই কক্সবাজার ছেড়ে পালিয়েছিল হানাদার বাহিনী। হানাদারমুক্ত হলে ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানের আমতলায় বিপুল মুক্তিকামী জনতার সমাগমের মধ্য দিয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। সেই থেকে এই দিনটিলে কক্সবাজার হানাদারমুক্ত দিবস হিসাবে পালন করে আসছে কক্সবাজারবাসী। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার কক্সবাজার হানাদারমুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে জয়বাংলা বাহিনী-৭১ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জয়বাংলা বাহিনী-৭১ যুগ্ম কমান্ডার আবু তাহের মাসুদ, এড. আবুল কালাম আজাদ, রশিদ আহামদ বিএ, আবদুল মাবুদ, আলহাজ্ব নাছির আহামদ চৌধুরী, শামসুল আলম, এম. খোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, অনিল কুমার দে, মমতাজ আহামদ, মো. ইউনুছ, আবু জাফর, জামাল উদ্দীন।
আলোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, ‘স্বাধীনতা ৪৫ বছরও কক্সবাজারের অনেক বধ্যভূমি চিহ্নিত করা যায়নি। অনেক বধ্যভূমি চিহ্নিত হলেও সেগুলো দখলমুক্ত করা যায়নি। প্রভাবশালীরা বধ্যভূমি দখল করে স্থাপনা তুলেছে। কিন্তু প্রশাসন এগুলো উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। আমরা দখলে থাকা বধ্যভূমি উদ্ধার করে তা সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি অসহায় মুক্তিযোদ্ধা সহযোগিতা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আলোচনা সভায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত করা হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।