করোনা ভাইরাস মহামারি শুরুর পর গত এক মাসে এক লাখ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘করোনা ভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য করণীয়’ বিষয়ে চতুর্থ জরুরি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তেলের দাম কমে গেছে। তাদের সবচেয়ে বড় আয় হলো তেল। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দায় আমাদের মতো তারও ভুগছে। ফলে তারা যতদূর পারছে বৈধ কর্মীদের ছাঁটাই করে ফেরত পাঠাচ্ছে। এর সঙ্গে অনিবন্ধিত অনেক কর্মীও রয়েছেন। আগে তো ওদের চলার মতো ব্যবস্থা ছিল। এখন ওদেরও চলার মতো ব্যবস্থা নেই। এজন্যই কর্মীরা চলে আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমেদ বলেন, আমরা কোনো প্রবাসী কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই না। আমরা চাই তারা সেখানে চাকরি করুক। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে তারা ফিরে আসছেন।
তিনি বলেন, সবাই যদি একসঙ্গে আসেন তাহলে আমরা বিপদে পড়বো। কারণ করোনা ঝুঁকি ঠেকাতে পর্যাপ্ত কোয়ারেন্টাইন সুবিধা আমাদের নেই। তাই আমরা চেষ্টা করছি যদি তাদের ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি করোনা সংকট দ্রুতই কমে যাবে। এর ফলে কর্মীদের নিয়ে সমস্যাও কেটে যাবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।