করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তাসহ চাল আত্মসাৎ ও বিতরণে অনিয়ম, সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে গতকাল বুধবারও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ ১০ ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মোট ১০০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করল স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চারজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
গতকাল বরখাস্ত হওয় জনপ্রতিনিধিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া, একই জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগম, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল কালাম, মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ৮ নম্বর নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ৪ নম্বর কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মফিজুল ইসলাম, একই জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন, জয়পুরহাটের সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য পারভীন আক্তার ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. লোকমান হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোসা. মুসলেমা বেগম এবং নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ৬ নম্বর চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকবাল।
অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।