২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

কাঁদছে গণমাধ্যমও

tmp_2120-file-18-744183383

একজন মাহবুবুল হক শাকিল। বয়সের সীমানায় আটকে ছিলেন চল্লিশের ঘরেই। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এমন বয়সে বিদায় নিয়ে এভাবে কাঁদানোর ঘটনা বিরল। শাকিলকে হারিয়ে কাঁদছে স্বজনরা, কাঁদছে গণমাধ্যম, কাঁদছে ফেসবুকও।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আরিফ পারভেজ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘চলে গেলেন আমাদের শাকিল ভাই।’ মাহবুবুল হক শাকিলের বাড়ি ছিল ময়মনসিংহে। আরিফ পারভেজের বাড়ি মেহেরপুরে। আবেগ, বিশ্বাস আর আস্থার জোরেই আরিফের কাছে শাকিল হয়েছেন ‘আমাদের শাকিল ভাই’।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসেবে চারজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের মধ্যে মাহবুবুল হক শাকিল অন্যতম। মাহবুবুল হক শাকিল আগেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর গত মেয়াদে বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) ও উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন এক সময়কার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি এই ছাত্রনেতা। শাকিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

ক্ষমতা আর মর্যাদার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত বিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অতি আস্থাভাজন হওয়ার পরেও শাকিল ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ। তরুণ এই কর্মকর্তা সাংবাদিক মহলেও ছিলেন বিশেষ পরিচিত মুখ।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের যে কোনো বিষয়ে সাংবাদিকদের আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করতেন তিনি। অন্য কারো সংযোগ পেতে জটিলতা থাকলেও শাকিলকে গভীর রাতেও ফোনে পেতেন সাংবাদিকরা।

তার চলে যাওয়ায় সাংবাদিক মহলেও বইছে শোকের ছায়া। গভীর শোক আর স্মৃতিকথা তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সাংবাদিকরা পোস্ট দিচ্ছেন তার মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকেই।

কথা হয় দৈনিক যুগান্তরের প্রধান প্রতিবেদক (বিশেষ প্রতিনিধি) আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এমন একজন মানুষের মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য কোনোভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না। তার এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।

তিনি বলেন, কাজের সুবাদেই শাকিল ভাইয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তার সঙ্গে আমরা যে আন্তরিকতা নিয়ে মিশতে পেরেছি, তা অন্যদের বেলায় মেলে না। তিনি সবসময় সাংবাদিকদের সহযোগিতার ভঙ্গিতে দেখতেন। তিনি আমাদের বন্ধু ছিলেন। আমাদের সঙ্গে মন খুলে আড্ডাও দিতেন। যে কোনো সমালোচনা ইতিবাচকভাবে নেয়া ছিল তার আরেকটি গুণ। শাকিল ভাই বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক পড়াশোনাও করতেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় মারা যান।

১৯৬৮ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা আইনজীবী ও মা শিক্ষক। আইনজীবী স্ত্রী ও শাকিলের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি কবি হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। গত বইমেলায় ‘মন খারাপের গাড়ি’ শিরোনামে তার একটি কাব্যগ্রন্থ বের হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।