আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন কাজে মাধ্যমেই প্রমান করতে চাই শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় অভুতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে এটিই প্রমাণিত হয়েছে। বিগত সময়ে বেগম খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়নের দিকে নজর না দিয়ে জঙ্গীবাদের পৃষ্টপোষকতা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই জঙ্গীবাদ দমনের মাধ্যমে দেশে উন্নয়নের ধারা প্রচলন করেছেন। যা আগামিতে অব্যাহত থাকবে। বেগম জিয়া নিজের সন্তানদের যেমন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন নি, তেমনি ভাবে দেশের শিক্ষার হার বাড়ানোর চেষ্টা তিনি করেননি। যার ফলে এস.এস.সি পরীক্ষার সময়ও তিনি হরতাল অবরোধ দিয়ে দেশের অগ্রসরমান শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। বেগম জিয়ার অবরোধের কারনে এস.এস.সি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা চাহিদামত ফলাফল করতে পারেনি। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ছেলে মেয়েদের নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে পাঠান, সহযোগীতা করবে সরকার। তিনি বছরের প্রথম দিনেই আপনাদের ছেলে মেয়েদের হাতে বই তুলে দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সকলের দোয়া কামনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই তাকে বার বার হত্যার চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য জীবন উৎসর্গ করতেও রাজি আছেন। যাদের দেশের মানুষের প্রতি ভালবাসা নেই তারাই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারাই আন্দোলনের নামে পুুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। তিনি গতকাল কুতুবদিয়ার বিভিন্ন ইউনিয় ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন কালে এ কথা বলেন। তিনি সকাল ১০টায় বড়ঘোট বাজারে কুতুবদিয়া জীপ পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত উত্তর বড়ঘোপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। বেলা ১১টায় প্রায় ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নজর আলী মাতবর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন করেন। বেলা ১২টায় ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত জালাল উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। বেলা দেড়টায় ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আফাজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। বেলা ২টায় প্রায় ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এম রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন। বেলা ৩টায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থয়ানে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত দারুল হিকমা আল মালেকিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও বহুমূখী ঘুর্নিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। বিকাল সাড়ে তিনটায় তিনি কুতুবদিয়া কলেজে ১ কোটি ৭৪ লাখ ব্যয়ে নির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন। বিকাল ৪টায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা জুনিয়র ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে পুরুষ্কার বিতরণ করেন। এ ছাড়াও তিনি হযরত শাহ আবদুল মালেক (রঃ) এর মাজার জেয়ারত করেন এবং বিভিন্ন মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্টান পরিদর্শন করেন। এ সময় বিভিন্ন সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশিদ। বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম কুতুবী,যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা খোরশেদ ্আলম কুতুবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমদ কুতুবী, সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা বিকম, শাহজাদা আবদুল করিম, ওসি অংসা থোয়াই, উপজেলা পরিষদের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির হায়দার, সাবেক সভাপতি আহমদ উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আওরঙ্গজেব মাতবর, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন ইকু, চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর, বড়ঘোপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিটু, লেইমশেখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, দক্ষিণ ধুরুং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা মিজবাহ উদ্দিন, বড়ঘোপ যুবলীগ আহবাক আরিফুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হালিমুর রশিদ, নজরুল ইসলাম, এইচ এম সাজ্জাত উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সেলিম উদ্দিন লিটন, যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।