২ এপ্রিল, ২০২৫ | ১৯ চৈত্র, ১৪৩১ | ৩ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত   ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে “কোরআন শিক্ষার মক্তব”

dormo_muktob
কালক্রমে জেলাব্যাপী হারিয়ে যাচ্ছে কোরআন শিক্ষার প্রাথমিক স্তর মক্তব। পূর্বের মত এখন আর তেমনি চোখে পড়েনা। এমনকি বর্তমান আধুনিক শিক্ষাদান তথা ডিজিটাল যুগে কাকডাকা ভোর সকালে গ্রামাঞ্চলের কঁচি কাচা ছেলেমেয়েরা কোরআন শিক্ষার মক্তবে যেতে দেখা যায় না তেমন। কালিমায়ে তায়্যেবা, আলিফ, বা, তা এর শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে না জনপদ। পূর্বে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ছিল কোরআন শুদ্ধ করে জানে এমন একটি মেয়েই হবে ঘরণী। যাতে বাড়ীঘরের অন্যজনেরাও কোরআনের শব্দে বরকতময় হয়ে উঠে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। অবধারিত রোজ সকালে পবিত্র আল কোরআনের আওয়াজ ছোট ছোট শিশুদের কণ্ঠ থেকে বের হয় না। জেলার আট উপজেলা তথা পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, টেকনাফ, রামু ও কক্সবাজার সদরের বিভিন্ন মসজিদে দায়িত্বরত ইমামরা মক্তবে সকালে কোরআন শেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করলেও সেখান থেকে পিছপা রয়েছে গ্রামাঞ্চলের শিশুরা। আবার অনেক অনেক স্থানে সকালে মক্তবে কোরআন শিক্ষা ও দ্বীনি শিক্ষাদান কার্যক্রম ও চোখে পড়ে। অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় কঁচিকাচা ছেলেমেয়েরা কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত। এছাড়াও কালের বিবর্তনে কোরআন শিক্ষার প্রাথমিক স্তর মক্তব হারিয়ে গেলেও দ্বীনি শিক্ষাঙ্গনে চলছে ইসলামী শিক্ষাদান। বেশ ক’জন সচেতন লোকজনের মতে, সময়ের অভাবে এলাকার শিশুরা এখন মক্তবে পবিত্র আলকোরআনের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এক প্রকার। কারণ ভোর সকালে ঘুম থেকে উঠে একগাদা বই নিয়ে প্রথমে কোচিং সেন্টারে যায়, পরে শিক্ষাঙ্গনের ক্লাসে ঢুকে পড়ে। শত কিছুর পরও শিশুরা একটু করে হলেও কোরআন পড়–ক, এমনটাই প্রত্যাশা অনেকের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিকজনের মতে, আল কোরআন শিক্ষার প্রাথমিক ধাপ মক্তব হারিয়ে যাচ্ছে। তাহলে কি এলাকার খোকামনিরা কোরআন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে? কোরআন শিক্ষার প্রাথমিক স্তর মক্তব চালুর মাধ্যমে এলাকার কোমলমতি শিশুদেরকে কোরআন শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করে তোলার দাবী অভিভাবক মহলের। অন্যথায় অচিরেই হারিয়ে যাবে দ্বীনি ও কোরআন শিক্ষা।

ফাইল ছবি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।