নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুতুবদিয়া বড়ঘোপের আমজাখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ পরিবার এবং ১৯ দোকানদারকে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার নগদ অর্থ এবং ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছে দেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কোস্ট ফাউন্ডেশন।
মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) জরুরী সহায়তা প্রদান কর্মসুচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গর্জ মিত্র চাকমা, মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাজন ঘিমির এবং প্রোগ্রাম ও পার্টনার কো-অর্ডিনেটর মতিন সারদার।
ক্ষতিগ্রস্ত ২৪ পরিবারের প্রত্যেকে ২০ হাজার এবং ১৯ জন দোকানদারের প্রত্যেকে ১৫ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
এছাড়া প্রত্যেককে স্যানিটারি প্যাড, লুঙ্গি, পুরুষদের জন্য প্লাস্টিকের স্লিপার, মহিলাদের জন্য প্লাস্টিকের স্লিপার, সাধারণ কাপড়, টি-শার্ট, কম্বল এবং মশারি দেওয়া হয়।
কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ও আঞ্চলিক টিম লিডার জাহাঙ্গীর আলম নেতৃত্বে জরুরি সহায়তা প্রদান কর্মসুচিতে কোস্টের মোঃ শাহিনুর ইসলাম, মোঃ ইউনুস, জিয়াউল করিম চৌধুরী, মোঃ দিদারুল ইসলাম এবং অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৮ নভেম্বর মধ্যরাতে কুতুবদিয়া বড়ঘোপের আমজাখালী আল-আমিন মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মোট ২৪টি ঘর বাড়ি ও ১৯টি দোকান পুড়ে যায়।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং দোকানদারদের উপর যৌথভাবে জরুরী জরিপ পরিচালনা করে কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনাল।
পাশাপাশি ঘটনাকালীন সময়ে অগ্নিনির্বাপণের জন্য জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে তাক্ষনিক যোগাযোগ করে কোস্ট ফাউন্ডেশন।
মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনালের অর্থায়নে বাংলাদেশে “জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক এবং কক্সবাজার জেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি সাড়াদান প্রস্তুতি” নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কোস্ট।
উক্ত প্রকল্পের অধীনে কুতুবদিয়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ এবং ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে পরিচালিত জরিপ থেকে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত ১০০% পরিবারের ই এই সংকট পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রয়োজন।
জরিপে দেখা যায়, ৮৮ % অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিজস্ব প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য নগদ সহায়তা প্রয়োজন। বাড়ি পুনর্নির্মাণের জন্য ৬৩% পরিবারের, টয়লেট নির্মাণের জন্য ৪২% পরিবারের, বাড়ি মেরামতের জন্য ২৫% পরিবারের এবং ঘর মেরামতের উপকরণের জন্য ১৩% পরিবারের নগদ অর্থসহায়তা প্রয়োজন।
রাজন ঘিমিরে বলেন, বিপর্যয়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সহায়তা করার জন্য কোস্ট এবং মাল্টিসার ইন্টারন্যাশনাল নগদ সহায়তা এবং ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে গেছে।
প্রকল্পের বরাদ্দ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য, নন ফুড উপকরণ এবং অন্যান্য উপকরণ কেনা, তাদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ বা জীবিকার বিকল্পের জন্য তহবিল ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ অগ্নিকাণ্ডে তারা সবকিছু হারিয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।