কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের জরুরী কাজের অংশ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ৫ কোটি টাকার জরুরী কাজ ৭টি প্যাকেজের মধ্যে ৬টি প্যাকেজ এর প্রায় ১২ কিলোমিটার মেরামতে ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বলে স্থানীয় পাউবো সূত্রে জানা গেছে।
উত্তর ধুরুং এলাকায় একটি প্যাকেজের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। বাকি ৬টির কাজ প্রায় শেষের দিকে । মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত পয়েন্টগুলোর মধ্যে আলী আকবর ডেইল তাবালের চর, বড়ঘোপ অমজাখালী, মুরালিয়া, সতরুদ্দীন পেয়ারাকাটা, উত্তর ধুরুং আকবরবলী ঘাট, পূর্বচর ধুরুং, পশ্চিম চর ধুরুং, মিয়াজির পাড়া, চুল্লার পাড়া, কালারমার পাড়া, কাহার পাড়াসহ তাবালের চর কিছু অংশ রয়েছে। এ সব এলাকায় বেড়িবাঁধ সংস্কার-মেরামত, নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে গত দু‘মাস আগে থেকে। ৫ কোটি টাকার জরুরী কাজ আগামী ৩০ ডিসেম্বর এর মধ্যেই শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে একই সাথে ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্যাকেজের কাজগুলো সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছে সময় মতো শেষ করার তাগিদে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জলোচ্ছাস রোয়ানু‘র প্রভাবে কুতুবদিয়ার চার পার্শ্বে বেড়িবাঁধ ব্যাপক ভাঙনের শিকার হয়। বিশেষ করে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সকল আবাদি জমি লবনাক্ত হওয়া ছাড়াও বাড়ি-ঘর, জান-মালের সর্বনাশ দেখা দেয়। প্রতিনিয়ত অমাবশ্যা-পূর্ণিমায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে অবাধে সাগরের পানি প্রবেশ করতে থাকে সারা বছরই। ফলে ধান চাষ দূরের কথা, এসব জমিতে লবন চাষও করা যাচ্ছেনা। কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, সচিব, স্থানীয় সংসদ সদস্য সরেজমিন পরিদর্শন করে কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এর আগে প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানি ঠেকাতে ৫ কোটি টাকা জরুরী কাজের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। কুতুবদিয়া-মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নানা প্রক্রিয়া শেষে প্যাকেজ দ্রুত শেষ করতে ৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক সাথে কাজ শুরু করে গত দু‘মাস আগে।
স্থানীয় পাউবো‘র উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলটন বড়ুয়া বলেন, উত্তর ধুরুং এলাকায় একটি প্যাকেজ ছাড়া প্রায় ৫ কোটি টাকার বেড়িবাঁধের জরুরী কাজের অন্তত: ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ বাকী কাজও শেষ হবে বলে তিনি জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।