২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

চকরিয়ায় কৃষকের লাশ উদ্ধার

Chakaria  Picture 18-01-2015
চকরিয়া উপজেলার কোণাখালী ইউনিয়নের কুমিরখালী শাখা থেকে গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ ভাসমান অবস্থায় আবদুল মান্নান (৩৬) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বাড়ি-ভিটার বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে গলাটিপে, অন্ডকোষ চেপে ধরে  ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। পরে লাশটি বাড়ির পাশে শাখা খালে ফেলে দেয়। নিহত মান্নান ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী বাজার এলাকার মৃত শাহআলমের ছেলে।
পরিবার সদস্যরা জানান, পৈত্রিক বসতভিটা নিয়ে প্রতিবেশি ফিরোজ আহমদ গংয়ের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয় নিহত আবদুল মান্নানের পরিবারের। কিছুদিন আগে ফিরোজ আহমদ কৌশলে ভুমি অফিসের মাধ্যমে আবদুল মান্নানের বাড়ি-ভিটার জায়গাটি নিজের নামে খতিয়ান করে নেন। এনিয়ে আবদুল মান্নান বাদি হয়ে উপজেলা ভুমি অফিসে ইতোমধ্যে আপত্তি মামলাও করেছেন। পরিবারের অভিযোগ, মুলত বাড়ি-ভিটার বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন আবদুল মান্নানকে গলাটিয়ে হত্যা করে। পরে লাশটি ফেলে দেয়া হয় বাড়ির পাশে কুমিরখালী শাখা খালে। এছাড়াও নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় শোরশেদ আলমের ছেলে ফিরোজ আহমদ প্রকাশ টিন ফিরোজ, কবির আহমদের পুত্র বেলাল উদ্দিন, মোক্তার আহমদের পুত্র মনু ও সোলতান আহমদের পুত্র সাবেক মেম্বার বশির আহমদ সহ ৭/৮জন জড়িত রয়েছে।
চকরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল আজম জানান, খবর পেয়ে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় থানার এসআই প্রেমানন্দ মন্ডলসহ পুলিশের একটিদল কোনাখালী ইউনিয়নের একটি শাখা নদীতে ভাসমান অবস্থায় নিহতের লাশটি উদ্ধার করেন। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে দুপুরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মো.মাসুদ আলম ও থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কোণাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, এলাকার লোকজনের দাবি বাড়ি-ভিটার জায়গা নিয়ে নিহত আবদুল মান্নানের পরিবারের সাথে প্রতিবেশি অপর পরিবারের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে, এরই জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলেই ঘটনাটি আসলে হত্যা না আত্মহত্যা তা উৎঘাটন হবে।
চকরিয়া থানার এসআই প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, লাশের বাম চোখে হালকা রক্তের দাগ দেখা গেছে। তবে ভেতরে কোন আঘাতের আলামত নেই। এছাড়াও লাশের শরীরে আর কোথাও আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়নি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।