১১ এপ্রিল, ২০২৫ | ২৮ চৈত্র, ১৪৩১ | ১২ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত

কেন হারলেন হিলারি ক্লিনটন..?

_92374958_222
আমেরিকার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় ব্যতিক্রমী, সন্দেহ নেই। এটা ছিলো রাজনৈতিক আভিজাত্যের বিরুদ্ধে একটি বিপ্লবের মতো।
আমেরিকার ভোটাররা হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে সেই আভিজাত্যের ছাপই দেখতে পেয়েছেন, যেখানে ভঙ্গুর রাজনীতির ছাপ রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই ভঙ্গুরতা ঠিক করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোটারদের ভোট পেয়েছেন। অসংখ্য মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে, কারণ তিনি প্রচলিত রাজনীতির বাইরে থেকে এসেছেন।
আমেরিকার বিভিন্ন এলাকায়, রাস্তায়, দোকানে সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির সংবাদদাতা। তারা বলেছে, তারা হোয়াইট হাউজে একজন ব্যবসায়ীকে দেখতে চায়, কোন পেশাদার রাজনীতিবিদকে নয়। ওয়াশিংটনের মানুষজনের প্রতি তাদের বিরাগ অকল্পনীয়।
ইমেইল কেলেঙ্কারির কারণে হিলারি ক্লিনটনের উপর আমেরিকানদের বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। এই ঘটনাটি অনেক ভোটারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সাধারণ আমেরিকানরা তাকে নিজেদের নয়, বরং বরাবরই এলিট গোষ্ঠীর একজন সদস্য হিসাবে দেখেছেন।
ভাবা হতো যে, আমেরিকার নারীরা হিলারিকেই বেছে নেবেন। কিন্তু প্রাইমারিতে বার্নি স্যান্ডার্সের সাথে প্রতিযোগিতার সময়েই টের পাওয়া গেছে, দেশের তরুণ নারী ভোটারদের টানতে পারা তার জন্য কতটা কঠিন। বিল ক্লিনটনের নারী কেলেঙ্কারিকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ বা ক্লিনটনের ওই ঘটনাগুলোও হিলারির জন্য ক্ষতিকর হয়েছে।
আবার অনেক পুরনো ধ্যানধারণার পুরুষ ভোটার, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে একজন নারীকে দেখতে চাননি।
বারাক ওবামা এবং হিলারি পক্ষের অন্য নেতারা বরাবরই ফাস্ট লেডি হিসাবে তার অভিজ্ঞতা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তার যোগ্যতার কথা তুলে ধরেছেন। কিন্তু আমেরিকার ভোটাররা চেয়েছিলেন নতুন কাউকে।
যখন অনেক আমেরিকান পরিবর্তন চাইছে, তখন তিনি যেন পুরনো জিনিসগুলো ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
_92375120_876cbb15-6daf-4233-9050-b639be32dcd3
আমেরিকার ইতিহাসে কোন পার্টির পক্ষেই পরপর তিনবার হোয়াইট হাউজে যাওয়া বরাবরই কঠিন। ১৯৪০ সালের পর ডেমোক্রেটরা এটা পারেনি। আবার অনেক ভোটারই ‘ক্লিনটন’দের উপর বিরক্ত হয়ে গেছে।
হিলারি ক্লিনটনের শ্লোগান ছিলো, একত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠবো। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শ্লোগান, আমেরিকাকে আবার শ্রেষ্ঠ করে তোলো। প্রচারণার দিক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শ্লোগান অনেক সুবিধা পেয়েছে।
হিলারির প্রচারণায় অনেক কৌশলগত ক্রুটি ছিলো। তিনি এমন সব রাজ্যের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন, যেখানে তার জয়ের দরকার ছিলো না। যেমন নর্থ ক্যারোলিনা বা ওহিও। বরং তার ওই ১৮টি রাজ্যে বেশি সময় দেয়া দরকার ছিলো, যারা গত ছয়টি নির্বাচন ধরে ডেমোক্রেটদের ভোট দিয়ে আসছে।
অন্যদিকে পেনসিলভানিয়া বা উইসকনসিনের মতো রাজ্য, যেগুলোর ভোট ১৯৮৪ সালের পর আর রিপাবলিকানরা পায়নি, তোর ভোট দখল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সর্বশেষ কথা হলো, এটা শুধু মাত্র যে হিলারি ক্লিনটনকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তা নয়, এর মাধ্যমে আসলে বারাক ওবামার আমেরিকাকেই প্রত্যাখ্যান করেছেন আমেরিকান ভোটাররা। বিবিসি

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।