উখিয়া উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কোটবাজারে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত সংঘাত লেগেই রয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
রত্নাপালং ইউনিয়নে কোটবাজারের অবস্থান হলেও উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মুল প্রাণকেন্দ্র ষ্টেশনটি। জালিয়াপালং, রতœাপালং, হলদিয়াপালং, রাজাপালং এমনকি রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়ন, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন থেকে ব্যবসা বাণিজ্য সহ জীবিকা নির্বাহের অন্যতম স্থল এই কোটবাজার। উন্নত নাগরিক সুবিধা, উন্নত শপিং মল, উন্নত হাটবাজার সহ বিভিন্ন কারণে কোটবাজারকে উপজেলার অন্য ষ্টেশন গুলো থেকে আলাদা করেছে।
জানা যায়, কোটবাজারে প্রতিদিন রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, এলাকা ভিত্তিক প্রভাব বিস্তারকে প্রতিদিন হাতাহাতি-মারামারি লেগেই থাকে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে গুরুতর রুপ নিয়ে পরিণত হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায়। এছাড়া প্রায় এইসব সংঘাতের কোন সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় পরবর্তীতে আবারো সংঘাতের সৃষ্ঠি হয়। ফলস্বরুপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা আর আতংকগ্রস্থ হচ্ছেন সাধারণ জনতা।
এছাড়াও সম্প্রতি ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাঠিসোটা সহ দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় স্বাদ নামক কুলিং কর্ণারে দুর্বৃত্তদের হামলায় ভাংচুর, আনাস মেডিকোর মালিককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিতের প্রতিবাদে ৪ ঘন্টা দোকানপাট বন্ধ করে রেখেছিল ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে উখিয়া থানায় দুই পক্ষকে ডেকে ঘটনা সমাধান করা হলেও এর রেশ রয়ে গেছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, কোটবাজার ষ্টেশন উপজেলার প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এক কোটবাজার ষ্টেশনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সহজলভ্য হওয়ায় মানুষ কোটবাজারমুখী হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ষ্টেশনে বিশৃঙ্খলতার পরিমান আশংকাজনক হারে বেডে গেছে। কথায় কথায় হাতাহাতি আর সংঘাত ষ্টেশনের নিত্য চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে ক্রেতাদের দুর্ভোগ আর আতংকের মধ্যে থাকতে হয়।
উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অনার্সের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুর্ঘটনা কোটবাজারের নিয়মিত ব্যাপার। কোটবাজার ষ্টেশন দিয়ে শিক্ষার্থীদের কলেজে যাতায়াত করতে হয়। সংঘাতের ফলস্বরুপ যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
কোটবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতার সাথে আলাপকালে জানা যায়, ছোট ছোট কিছু বিষয়কে অনেক বড় ইস্যু বানিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মত ঘটনা ঘটায়। এইসব সংঘাতে দোকানপাট ভাংচুর, মালিক লাঞ্চিতের মত বিষয় ঘটে। অনেক সময় আতংকে দোকানপাট হুডোহুডি করে বন্ধ করতে হয় তাদের। এতে ব্যবসায়িকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।
কোটবাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি কবি আদিল চৌধুরী বলেন, মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হওয়ায় কোটবাজারের ভয়াবহ অবস্থা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে ব্যবসায়ীরা পরিত্রাণ পাবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।