কারান্তরীণ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তাকে স্বজনদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘৭৪ বছর বয়সী গুরুতর অসুস্থ নারীকে আর বন্দি রাখবেন না। খালেদা জিয়া কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠের মধ্যেই পঞ্চমবারের মতো ঈদ করছেন। তার সুচিকিৎসা ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ দিন।’
‘দেশের প্রতিটি মানুষ জানেন, আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। একদলীয় শাসনের ঘন অন্ধকার দূর করে আলোর প্রত্যাশা পূরণে খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরিহার্য। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে আরামদায়ক ও স্বস্তিদায়ক হবে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আমি গতকালও বলেছি, এবারের ঈদ হচ্ছে সবচেয়ে বেদনাদায়ক। এ বেদনাদায়ক চিত্র সর্বত্র ফুটে উঠেছে। ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গণপরিবহনে যে সীমাহীন নৈরাজ্য চলছে— ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না।
গণপরিবহনের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা, ৫০০ টাকার ভাড়া ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর অভ্যন্তরীণ পরিবহনে ৫০ টাকার নিচে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। ভাড়া নিয়ে গণপরিবহনের লোকেরা যাত্রীসাধারণের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করছে, লাঞ্ছিত করছে। মহাসড়কে দুর্বিষহ যানজটে পড়ে মানুষ সীমাহীন কষ্ট করছে। এগুলো দেখার কেউ নেই।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘গণপরিবহনে এ নৈরাজ্যের জন্য দায় ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এড়াতে পারেন না। গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের ব্যর্থতার দায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী পদত্যাগ করত। কিন্তু বংশানুক্রমিকভাবে পদত্যাগের জিন আওয়ামী নেতাদের মধ্যে নেই।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।