জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৮ মার্চ আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
ব্যারিস্টার রাগিফ রউফ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ ঘোষণার দিন ঠিক ধার্য করেন।
আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার রাগিফ রউফ চৌধুরী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। মামলাটি বর্তমানে রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত আবু আহমেদ জমাদারের বিশেষ আদালতে বিচারাধীন। আবেদনে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের আরজি জানানো হয়।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় পরে মামলাটি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য আবেদন করেন খালেদার আইনজীবীরা।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।
খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।