শর্ত সাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হবে ৮ এপ্রিল, তারপর শুরু হবে নিয়মিত চিকিত্সা। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার চিকিত্সায় গঠিত মেডিক্যাল টিমের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন গতকাল বিকেলে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ম্যাডাম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। পাশাপাশি তার অন্য যেসব সমস্যা আছে, সেগুলোর চিকিত্সা চলছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তার আরো কিছু পরীক্ষা শেষে অন্যান্য ট্রিটমেন্ট শুরু করা হবে।’
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং আধুনিক চিকিত্সার প্রয়োজন হবে। বাসায় থেকেই যাতে তার চিকিত্সা দেওয়া সম্ভব হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে ডা. জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে।’
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার বলেন, ‘ম্যাডাম বাসায় আসার পর থেকে মানসিকভাবে স্বস্তি বোধ করছেন। তার উন্নতি হচ্ছে খুব ধীরগতিতে। এখন তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। সুস্থতার জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে।’
ব্যক্তিগত চিকিৎক টিমের একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। তিনি হাঁটতে পারেন না। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চিকিৎকেরা জানান, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার সুস্থতার অগ্রগতি ধীর। বাসায় আনার পর উনি মানসিকভাবে স্বস্তি বোধ করছেন।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।