চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী খাসঘোনা পাড়া থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে প্রতিবছর ভাঙ্গছে খালের দু’পার। গত কয়েক বছরে ব্যাপক ভাঙ্গনে ৭/৮টি বাড়ী সম্পূর্ন বিলীন ও ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে খালপাড়ের ২০ থেকে ২৫টি বসতভিটাসহ মসজিদ। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন চলছে। বালু নৈরাজ্যের কারণে ইউনিয়নের শত কোটি টাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবছর স্থানীয় প্রভাবশালী জব্বার, ইদ্রীস, বশির, রহিম বালু উত্তোলনের সিন্ডিকেট সেলু ইঞ্জিন দিয়ে ছড়া খাল থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থকে ৫০ ট্রাক বালু উত্তোলন করে নিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড এর খাস ঘোনা মসজিদের পাশের অংশের খালের মাঝে বালু উত্তোলন করে পাচারের উদ্দেশ্যে স্তুপ করে রেখেছে। পুরো খাল জুড়ে রয়েছে বালুর স্তুপ।
নদী গর্ভে বিলীন হওয়া বাড়ির মালিকরা জানান, এখনও আর একটি বাড়ী করতে পারেনি, বছর পূর্বে বাড়ি খালের ভাঙ্গনের কারণে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গনের পূর্বে বাড়ির নিচের অংশ থেকে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন করেছিল। সে বছর বর্ষায় পাড় ভেঙ্গে বাড়ি বিলীন হয়। তারা আরো বলেন, গত কয়েক বছরে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে ভিটাসহ ৪ বাড়ি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। অন্যান্য বছরের চেয়েও চলতি বর্ষা মৌসুমে খালের পাড় আরো ভয়াবহ ভাঙ্গতে পারে। চলতি বর্ষা মৌসুমে মসজিদসহ খালপাড়ের আরো ২০ থেকে ২৫টি বসত ভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে যেতে পারে।
নাম প্রকাশ না করা সত্ত্বে খাস ঘোনার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, এলাকার জব্বার, ইদ্রীস, বশির, রহিম বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত। দ্রুত বালু পাচার বন্ধে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা এই বিষয়ে কোন বক্তব্য প্রদান না করে সংবাদ পরিবেশন না করতে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার বলেন, খাস ঘোনাতে বালু উত্তোলনে সরকারী ইজারা দেয়া হয়নি। বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বেআইনী। রাবার ড্যামসহ যে সকল জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।