চকরিয়ায় চিংড়ী ঘেরে দফায় দফায় ডাকাতি ও লুটপাটের অডিভযোগ পাওয়া গেছে । চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়স্থ বিভিন্ন নাল, খাল ও পাহাড়ী জায়গার ওয়াকফ এস্টেট জমিদারী দাবীদার মালিক মো: নজরুল ই্সলাম চৌধুরী জানান ,তিনি বাদী হয়ে গত ১২ই ফেব্রুয়ারী ২০১৪ সালে বিজ্ঞ জেলার দায়রা জর্জ আদালত, কক্সবাজার বরাবর বিভিন্ন অনিয়ম দেখিয়ে ২৪/১৫১ ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলা নং : ০৩/২০১৪ইং । এতে খুটাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হেতালিয়া পাড়ার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে রমজান আলীকে আসামী করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি উক্ত মামলা বিরুদ্ধে যথাযথভাবে স্বচিত্র ডকুমেন্ট প্রমাণ করে আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে এসেছি। এর জের ধরে, দাবীদার জমিদার তখন থেকে আমাকে নানান কৌশলে ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানি করার পায়তারায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল। এতে জমিদারী স্বতন্ত্র শক্তি দেখিয়ে, অত্র ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দু জলিলের ছেলে ছৈয়দ হোসেন, মৃত ইউসুফের ছেলে ফরিদ উদ্দীন সহ আরো অস্ত্রধারী অজ্ঞাত ৪/৫জন ডাকাতকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে, আমার নিজ বসত বাড়ীস্থ চিংড়ী মৎস্য চাষাবাদের মাছ দফায় দফায় নিয়ে যাওয়ায় আমি তাদের বিরুদ্ধে গত ৮জুন ২০১৬ইং তারিখ চকরিয়া থানায় অভিযোগ করি। যার স্মারক নং ৫২০। এতে আমি কোন প্রতিকার না পেয়ে, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট দূর্নীতির তথ্য প্রকাশকারীর সংস্থার পরিচালক মহোদয়ের সহযোগিতায় পুন:রায় একই বিষয়ে পুলিশ সুপার , কক্সবাজার বরাবর ন্যায় বিচারের স্বার্থে , জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিধি মোতাবেক একখানা অভিযোগ দায়ের করি, গত ২ জুলাই ২০১৬ইং তারিখ যার স্মারক নং ৪৭৬৭/২য়। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চকরিয়া থানাকে বলা হলে থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাপ্ত হইয়ে এস.আই কবির হোসেনকে নিশ্চিত করে তদন্তভার ন্যস্ত করেন। এ ডিউটি অফিসার সরে জমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাছ সহ বিভিন্ন মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির খদিস পাওয়াতে , উক্ত অভিযোগের বিবাদীকে নোটিশের মাধ্যমে ডেকে বিচার ফায়সালা করে দেয়। তিনি আরো জানান, বিচার ফায়সালা শেষে গত ৫/৬ দিন পূর্বে রাত প্রায় ২টা ৩০ মিনিটের সময় আমার চিংড়ী চাষাবাদ ঘেরার ভিতরে এসে আমাকে স্বসস্ত্র ভয় দেখিয়ে ছড়ে-ছিটানো থাকা সমস্ত মালামাল ও মাছ নিয়ে যায়। এতে আমি হতাশ হয়ে পড়ি এবং আর্থিকভাবে সর্বশান্ত হয় । ঘটনার স্থল মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার মৌলভীর ডেপা নামক স্থানে , যার বি.এস দাগ নং ২০৯৭ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। পার্শ¦বর্তী চিংড়ী চাষীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।