চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের যোগসাজসে মহাসড়কে বালি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে বালু বহনকারী গাড়ি প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণ আর মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন আশিকুর রহমান এসব দেখেও না দেখার ভান করে প্রতিনিয়ত আদায় করছে লাখ লাখ টাকা। এদিকে খুটাখালীতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে হাইওয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দায়ী করেন স্থানীয়রা। ইউনিয়নের বাসষ্টেশন ব্রীজ, গ্রামীন ব্যাংক রাস্তার মাথা, ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকা, মইক্যাঘোনা ও মেধাকচ্ছপিয়াসহ পাগলির বিলে মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত উভয় পাশে ৫/৬টি স্থানে রয়েছে বিশালাকৃতির বালুর স্তুপ। বালু আনা নেওয়া করতে মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও লাইসেন্স বিহীন চালক দ্বারা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছে। এসবের পরও মাথাব্যাথা নেই মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশেরও।
ভুক্তভোগী জনসাধারণ অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত বালির গাড়ি ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সড়কটি অবৈধভাবে বালু পরিবহনে তাঁরা ভয়ে বাঁধা দিতে সাহস পাচ্ছেনা। এ অবস্থার কারনে চরম দুর্ভোগের পড়েছে এলাকার জনসাধারণ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ইতোমধ্যে কক্সবাজার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের তথ্য মতে গেল বছর বেপরোয়া বালির গাড়ির কারণে খুটাখালীতে প্রায় ডজন খানেক প্রাণহানি ঘটেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী জনসাধারণ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মহাসড়কের পাশে বলুর স্তুপ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদুল ইসলাম বলেন, মোবাইল কোর্ট চালিয়ে যাচ্ছি এবং যে কোন সময় এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।