চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর সুপারি ব্যবসায়ী ৪ সন্তানের জনক জসিম উদ্দিন (২৮) পরকিয়া প্রেমিকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২ সপ্তাহ ধরে স্ত্রী ছেলে মেয়েদের ফেলে টেকনাফের জনৈক মহিলা মনুর সাথে উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী শামসুন্নাহার। জসিম বর্ণিত ইউনিয়নের মাইজ পাড়া গ্রামের আমির হামজার পুত্র।
স্ত্রীর শামসুন্নাহারের অভিযোগে জানা যায়, বিগত ১ বছর পূর্বে পাশর্^বর্তী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের কন্যা শামসুন্নাহারের সাথে শরীয়ত মতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে ১ কন্যা ও ৩ ছেলে জন্ম গ্রহণ করেন। সম্প্রতি জসিম খুটাখালী বাজারে সুপারি ব্যবসা করার সুবাদে পাশর্^বর্তী হোটেলে মরিচ বাটায় কর্মরত টেকনাফের মনু প্রকাশ গুরুনির সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি তার স্ত্রী জানলে পরিবারে নানা অসংগতি ও বাকবিতন্ডা ঘটে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাধও হয়। পরে স্থানীয়দের শালিসী বৈঠকে বিষয়টি সুরাহা করা হলেও গত কিছুদিন পূর্বে পরকিয়া প্রেমিকা মনুর সাথে জসিম এলাকা ছেড়েছেন। এ ঘটনায় নিরুপায় শামসুন্নাহার ৪ ছেলে মেয়ে নিয়ে স্বামী জসিমের খুঁজে বিভিন্ন জায়গা ও প্রশাসনে হন্য হয়ে ঘুরছে। বর্তমানে শামসুন্নাহার অনাহার ও অর্ধাহারে ছেলে মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদিকে আয় রোজগারের একমাত্র কর্তা স্বামী জসিম না থাকায় বড় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়ার লেখা পড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারপরও এক বেলা খেয়ে না খেয়ে কন্যা সুমাইয়ার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য মা শামসুন্নাহার হতদরিদ্র কর্মসূচীর কাজে নিয়োজিত হয়েছেন। তার ফরিয়াদ স্বামী জসিম মনুর ফাঁদে পড়ে ৪ সন্তানদের ফেলে টেকনাফে অবস্থান করছেন। তার কোন খোঁজ পেলে নিকটস্থ থানা পুলিশকে অবহিত করার জন্য তিনি সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের অনুরোধ জানিয়ে তার সন্তানদের পিতাকে ফেরত পাওয়ার আকুতি করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।