নিজস্ব প্রতিবেদক:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজারে কবির আহমদ (৪০) নামক সৌদিফেরত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে হত্যারচেষ্টা চালিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত কবির আহমদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের উত্তর পাড়ার ফরিদুল আলমের ছেলে। সম্প্রতি তিনি সৌদিআরব থেকে দেশে ফিরেছেন।
হামলার সময় বাধা দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে আহত হয়েছেন ছোট ভাই সরওয়ার কামাল (৩২) ও রবিউল হোসেন বাদশা (২৪)।
ঘটনায় জড়িতদের কেউ আটক হয় নি।
আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ভিলেজারপাড়া গ্রামের হেডম্যান নুরুল আলমের পুত্র মোঃ ফারুক (৩৫) ও সেগুন বাগিচা গ্রামের মোঃ ইদ্রিছের পুত্র শাহাব উদ্দীন (৪৫)সহ আরো কয়েকজন লোক বিভিন্ন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে হামলে পড়ে। এতে কবির আহমদের মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায়।
এসময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে সরওয়ার কামাল ও বাদশাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কবির আহমদের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিনা কারণে হামলার ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ জুয়েল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত মোঃ ফারুকের ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ অনেক মামলা রয়েছে। সে বড় ক্রিমিনাল। তাকে আমরা খুঁজতেছি। হামলার ঘটনাটি শুনেছি। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়েছেন ওসি (তদন্ত) মোঃ জুয়েল ইসলাম।
এদিকে আহত কবির আহমদের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী এনামুল হক মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে রাতের অন্ধকারে তাদের বসতবাড়ির ঘেরাবেড়া ভাঙচুর করে অভিযুক্তরা। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে লুট করে নিয়ে যায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল। কেটে তছনছ করা হয় ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র।
তারা এত নৃশংস যে, ঘরের কুকুরকেও ছুরিকাঘাত করেছে।
এ ঘটনায় সরওয়ার কামাল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এজাহার জমা দিয়েছিরেন। এতে হেডম্যান নুরুল আলমের পুত্র মোঃ ফারুক (৩৫) ও সেগুন বাগিচা গ্রামের মোঃ ইদ্রিছের পুত্র শাহাব উদ্দীন (৪৫)কে আসামি করা হয়।
তবে, এঘটনায় থানা পুলিশের রহস্যজনক নিরবতাকে দায়ী করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা চকরিয়া থানার এসআই আবু সায়েম জানিয়েছিলেন, কিসের বিরোধের জের ধরে বসতবাড়ির ঘেরাবেড়া ভাংচুর করা হয়েছে, তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্তরা মাদক সেবন এবং কারবারিতে জড়িত। তাদের অপকর্মে যারা বাধা দেয় তাদের উপর চড়াও হয় । ফারুক গংয়ের মাদক কারবারে বাধা প্রদান করেছিলেন কবির আহমদ। সে কারণে তাকে বেশ কয়েকবার হুমকি ধমকি দেয়, মারধরও করেছিল। তাতে ক্ষান্ত নয় দুষ্টচক্র।
এলাকাবাসীর ধারণা, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের জানে মেরে ফেলার মিশনের নেমেছে অপরাধীচক্র। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগিসহ সকলের।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।