চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী লালগোলা সড়ক চলছে বেহাল দশায়। জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির একাধিক স্থানে ভাঙ্গন,গর্ত ও ব্রীক সলিন না থাকায় দিন দিন জনদূর্ভোগ বাড়ছে। লবণ-মৎস্যঘের খ্যাত টটটই ঘোনা ও কাউয়ারদ্বীয়ার কোটি টাকার মাছ লবণ পরিবহণে একমাত্র সড়কটির বেহালদশা যেন দেখার কেউ নেই। ২ কিলোমিটার এ সড়কে কোথাও পীচ, কোথায়ও ব্রীক আবার কোথাও কাঁচা। যান চলাচলে আবার কোথাও হয়েছে ছোট বড় গর্ত। প্রায় ১০ গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক লোকের চলাচলের একমাত্র সড়কটি সংস্কার করা না হলে আগামী বর্ষাতে সড়কের কোন চিহৃই থাকবেনা বলে জানান স্থানীয়রা।
সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০০১ সালে সড়কটির কিছু অংশ কার্পেটিং হয়। বাকী অংশ ২০০৫ সালে সমাপ্তি হলেও প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা ব্রীক উঠিয়ে নিয়েছে সংশিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। অন্যদিকে বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ৩ হাজার একর লবণ মাঠ,অর্ধ শতাধিক চিংড়ি ঘেরের মালিক শ্রমিক ও চাষীরা প্রতিদিন ভাঙ্গাচোরা এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ছোটখাট দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে গাড়ি দিয়ে পরিবহন করা যাচ্ছেনা লবণ ও চিংড়ি। সড়কের যে অবস্থা তা দিয়ে হাটাই এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে। তৎকালীন সরকার এ সড়কটি দিয়ে মহেশখালী যাতায়তের পথ সুগম করেছিল। কোটি কোটি টাকা খরচ করে ২টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। একটি লালগোলা সংলগ্ন এবং অপরটি কাউয়ারদ্বীয়া সংযোগ ব্রীজ। বর্তমানে ব্রীজ দুটির দু’পাশে এপ্রোজ ও গাইডওয়ালের মাটি সরে গেছে। লাল গোলা ব্রীজ পার হয়ে টটটই ঘোনা যেতে সময় লাগে ১৫মিনিট। বর্তমান সরকার যোগাযোগ খাতে কোটি টাকা ব্যায় করলেও লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব নিয়ে এতদঅঞ্চলের এ সড়কটির করুণ দশায় যেন কারো মন গলাতে পারছেনা।
স্থানীয় লবণ ও মৎস্য চাষীদের অভিযোগ, কিসের অযুহাতে সরকার এ সড়কটি সংষ্কার নিয়ে গড়িমসি করছে। তারা আরো জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কাউয়ারদ্বীয়া,টটটই ঘোনা,মসজিদ ঘাট,চিলখালী,মাছের জুরা,উত্তর ঘোনা,অফিসের দ্বীয়া,মেধের ঘোনা,মহরিঘোনা,হাফেজিঘোনা নাইফর ঘোনা,লালগোলা ও কেরানী ঘোনার শ্রমিক লবণ চাষীরা চলাচল করছে। এ সকল ঘের থেকে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব নিচ্ছে।
চিংড়ি ঘের মালিকরা জানান, অর্ধ শতাধিক চিংড়ি ঘেরের মাছ লবণ পরিবহনের ক্ষেত্রে এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করা এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অনেক সময় পরিবহনের কারণে লাখ টাকার মাছ পঁচে নষ্ট হচ্ছে।
মঙ্গলবার সড়কটি সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উত্তর ফুলছড়ির জেলে পাড়ার মোড়টি অত্যন্ত ঝূঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। আজলা পাড়ার পশ্চিমে সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে অসংখ্য ভাঙ্গন হওয়ায় রিক্সা ও ভটভটি ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলতে পারছেনা।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াশিম আকরাম জানান, এ সড়কটি দিয়ে কাঠালিয়াপাহাড়,জেলেপাড়া,খাসঘোনা,নাইফর ঘোনা,উত্তর ফুলছড়ির লোকেরা চরম ঝুঁকিতে চলাচল করছে। এ সকল গ্রামের ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে সময় ক্ষেপন হচ্ছে। অন্যদিকে চিংড়ি ঘের লবণ চাষীরা অত্যান্ত রিক্স নিয়ে যাতায়ত করছে। আবার অনেক রোগী সড়কের এ বেহাল দর্শার কারণে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল জানান, পরিষদে এতবড় বাজেট নেই। সরকার আন্তরিক হলে লক্ষ লক্ষ লবণ চাষীদের কথা বিবেচনা করে সড়কটি সংষ্কার করে দিলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
খুটাখালী চেয়ারম্যান আবদুর রহমান জানান,এলজিইডির এসড়কটিতে কিছু অংশ ব্রীক থাকলেও তা এখন নেই। সরকার ও উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে সড়কটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে চিরতরে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।