১৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

গঙ্গার স্নানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পূণ্যার্থীদের মিলনমেলা

COXSBAZ

কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাবারুনি গঙ্গা স্নান উৎসবে লাখো পূণ্যার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল। ১৮ মার্চ বুধবার ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা সমবেত হয়ে সাগর স্নানে মেতে উঠে। ভারতের বৃহৎ গঙ্গা স্নানের আদলে দেশের কক্সবাজার সৈকতে এ উৎসবে বিভিন্ন জেলার পূজারীরা অংশ গ্রহণ করেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পুজারীরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়বেটিক পয়েন্ট অবস্থান নেয়। পুনার্থীদের পদভারে সৈকতের পাঁচ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বসে মিলন মেলা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, বছরের পাপ ধুয়ে পবিত্র হওয়া এবং পরলোকগত চৌদ্দ পুরুষের আত্মার সদগতি কামনা করে মহাবারুনি স্নান করে। পাশাপাশি পরিবারের শান্তি-মঙ্গল কামনার জন্য প্রতি বছর এইদিনে বঙ্গোপসাগরের পানিতে বারুনি স্নানের আয়োজন করা হয়। যুগ যুগ ধরে এ স্নান চলে আসলেও অনেকটা প্রচারণা বিহীনভাবে এ উৎসব চলে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে সাগর পাড়ের বেলাভূমিতে বিভিন্ন বয়সী নর-নারী, শিশু, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দলে দলে উৎসবে যোগ দেয়। সৈকতে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সনাতনীদের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও উৎসব দেখতে ভিড় জমায়। অনেকে সাগর জলে স্নানে নেমে পড়ে। সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, ঋষি-মনীষি, পুরোহীত-ব্রাহ্মণেরা সৈকত জুড়ে ধ্যান-সাধনায় মেতে রয়েছে। বারুনি স্নানের লক্ষ্যে সৈকতের বিশাল এলাকা জুড়ে হরেক রকমের পণ্যের বেচা-কেনার স্টল বসেছিল। সারাদেশের পাশপাশি ভারতের অনেক কৌতুহলী সনাতন ধর্মাবলম্বীও উৎসবে যোগ দেয়। এদিকে সুভাষ ধর, রতন ধর ও দিলীপ ধরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বণার্ঢ্য মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল অদ্বৈত-অচ্যুত মিশন। এ মিশনের উদ্যোগে ১৮ মার্চ ভোর থেকে শুরু হওয়া মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানমালায় ধর্মীয় আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অজিত দাশ ও অধ্যাপক স্বপন চৌধুরী।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।