দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০ জন মারা গেছেন। করোনায় এ পর্যন্ত মোট মারা গেলেন ৩ হাজার ১৮৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৬৬ জন এবং এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩৭ হাজার ৯০৫ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ২৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশ। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে শনাক্তের হার ২৫-এর ওপরে ওঠেনি।
সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ২৩৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪২ হাজার ১০২ জন শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন জন এবং নারী ৫ জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী ৩ জন, সিলেট বিভাগে একজন, রংপুর বিভাগে একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২৭ জন এবং বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৪৬৮ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৮২৫ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৩ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৪৪৮ জন ছাড় পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৫২ হাজার ২৭৩ জনকে।
প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৯৯৯ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ১৩২ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫১৪ জন এবং এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৫ হাজার ২৭৮ জন ছাড় পেয়েছেন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৪ হাজার ৮৫৪ জন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।