রামু উপজেলার অবহেলিত গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি দূর্গম জনপদে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপিঠ। গত ১২ জানুয়ারী স্কুলটির ভিত্তি প্রস্তর ও ভর্তি কার্যক্রম উদ্বোধন করে কক্সবাজার- রামু সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। এর পর থেকে ৬ জন শিক্ষক ও প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পথ চলা শুরু হয় বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপিঠ। অরণ্য ঘেরা পাহাড়ি জনপদে গড়ে তোলা এ বিদ্যালয়টি যেন মুখরিত করে তুলেছে পুরো এলাকাকে। পাশা-পাশি আলোকিত করছে শিক্ষা ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার কোমল মতি ছেলে-মেয়েদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা। এর পর হচ্ছে রামুর গর্জনিয়ার দূর্গম জনপদ পাহাড়ি এলাকা জুমছড়ি। ঐ এলাকার কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরির্দশক আবুল কাশেম মোঃ ফজলুল হক ও আজিজ মওলা তারা দুই সহোদর মিলে অবহেলিত এই এলাকার ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তাদের পিতা মরহুম বদিউল আলমের নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন।
বর্তমানে এলাকার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের উদ্যোগে সুন্দর মনোরম পরিবেশে বেসরকারী এই বিদ্যালয়টিতে পাঠদানে মুখরিত যা চোখে পড়ার মত দৃশ্য। গ্রামবাসীর উদ্যোগে আবহেলিত জনপদে শিশুদের আলো ছড়ানোর এ খবর আশেপাশের গ্রামের জনসাধারণের মাঝেও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। কমিটির সদস্য স্থানীয় মেম্বার এহেছান উল্লাহ ও শিক্ষাবিদ জয়নাল আবেদীন জানান- আমাদের ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকায় থিমছড়ি, সমদীর পাড়া, সাহ মোহাম্মদ পাড়া, গয়াল মারা, পশ্চিম জুমছড়ি সহ বেশ কয়েকটি অতিদূর্গম গ্রামে কোন সরকারী বা বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ছিলনা। ফলে এলাকার শত শত শিশু শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেণী শেষ করে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারতনা। তাই এসব শিক্ষর্থীদের পড়ালেখার সুযোগ দেয়ার লক্ষ্যে জুমছড়ি আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন তারা। আবুল কাশেম মোঃ ফজলুল হক জানান বিদ্যালয়টি আরও সুন্দর ভাবে চলতে তিনি এলাকার জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, সমাজসেবক সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।