রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নে চিহ্নীত বনদস্যু কর্তৃক গিলাতলী বনবিটের দুই প্রহরীর রগ কর্তনের ঘটনায় রামু থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বুধবার (১মার্চ) গিলাতলী বনবিটের বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থিমছড়ির বননিধনকারী আবদুর রহিম, মোঃ ইউনুছ, মালেকা বেগম ও মোঃ আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১১ জনকে আসামি করে এই মামলা রুজু করেন। রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, গর্জনিয়ার হ্যাডম্যানঘোনার রিজার্ভ এলাকা থেকে বৃক্ষ লুটের খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে বনবিভাগ অভিযান চালায়। কিন্তু কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করতে গেলে অতর্কিত অবস্থায় বনদস্যু ও সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। তারা দায়ের কোপে বন প্রহরী সায়েদুল হক ও রিপন হাওলাদারের হাতের রগ কর্তন করে পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ওই সব বনদস্যুরা অবৈধভাবে রিজার্ভ এলাকায় বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো।
এদিকে বুধবার দুপুরে হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেন। পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, বনদস্যুদের বিরুদ্ধে বনবিভাগ সব সময় স্বোচ্চার। তাদেরকে কোন মতেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বনদস্যুদের অবৈধ বসতঘরগুলো উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান। এসময় তাঁর সঙ্গে গিলাতলী বন বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বাঁঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফখরুল আলম খাঁন এবং গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ীর পরিদর্শক কাজী আরিফ উদ্দিন।
উল্লেখ্য, বন প্রহরী সায়েদুল হক ও রিপন হওলাদারকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে রিপন হাওলাদারের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও সায়েদুল হকের অবস্থা আশঙ্খাজনক। তাকে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন পুলিশ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।