গিলগিট-বালতিস্তানকে পঞ্চম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের একটি বিশেষ কমিটি। অথচ পাকিস্তানের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। তাদের দাবি, ওই অংশ আসলে ভারতের। ১৯৪৭ সাল থেকে ওই অঞ্চল বেআইনিভাবে দখল করে আছে পাকিস্তান। খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোরের।
ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, প্রদেশ ঘোষণা করে পাকিস্তান ওই বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে আরও বেশি করে উস্কানি দিচ্ছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘গিলগিট-বালতিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরে বৈধ ও সাংবিধানিক অংশ। ১৯৪৭ থেকে এই অংশের বেআইনি দখল নিয়েছে পাকিস্তান। আর এই অঞ্চলে মানুষের ন্যূনতম অধিকার নেই, নেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ’
এমন সিদ্ধান্তের পর ইতোমধ্যেই গিলগিট-বালতিস্তানের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মানুষ। তাঁরা চান না ওই অংশকে পাকিস্তানের প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। কিছুদিন আগেই গিলগিট-বালতিস্তানকে দেশের ষষ্ঠ প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্তে থাকা এই অঞ্চলকে পাকিস্তান বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সারতাজ আজিজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিই এই প্রস্তাব দিয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গিলগিট-বালতিস্তানকে একটা প্রদেশ হিসেবে চিহ্নিত করা উচিৎ। এই এলাকার উপর দিয়েই তৈরি হচ্ছে চীন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডর। গিলগিট-বালতিস্তানের একটা অ্যাসেম্বলি ও একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীও রয়েছেন। পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ হল বালোচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, পঞ্জাব ও সিন্ধু।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গিলগিট-বালতিস্তানের অস্থায়ী অবস্থা চীনের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল্আ র সেইজন্যই পাকিস্তান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত আগামীদিনে সেদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।