সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: লবন, চিংড়ী ও মৎস উৎপাদন অঞ্চল কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীকে অস্তিতে¦র সংকট থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। গত ২১ মে ২০১৬ রোয়ানুর ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই চলতি বছরের ৩০ মে মোরা’র আঘাতে গোমাতলী আজ বিরাণভুমিতে পরিনত হয়েছে। সহায় সম্বল হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে মানুষ। এ অবস্থায় আপনারা কি অসহায়ের মতো দেখে থাকবেন? কেন আজ গোমাতলী জোয়ার-ভাটার খেলায় পরিণত হয়েছে? এর একমাত্র কারন এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকা। আপনারা জানেন ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে ২০১৭ সালের ৩০মে’র ঘূর্ণিঝড় যায় আর আসে। এগুলো যেন আমাদের চিরচেনা,দু:খ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।এর থেকে বাচাঁর কি কোন উপায় নেই। আমাদের রক্ষা করার কি কেউ নেই? আমরা কি এ দেশের নাগরিক নই? তাহলে আমাদের প্রতি এত অবহেলা কেন? বার বার ঘুর্ণিঝড়ের পরে আমাদেরকে কিছু রিলিফ দিয়ে শান্তনা কেন? আমরা জানি উপকুল রক্ষার একমাত্র মাধ্যম বেড়িবাঁধ। সেই বেড়ি বাঁধের দাবী দীর্ঘ ১৫ মাস যাবৎ করে আসলেও আজ পর্যন্ত টেকসই বেড়ি বাঁধ নির্মিত হলনা। আর কত জীবন গেলে, ক্ষতি হলে বেড়ি বাঁধ নির্মিত হবে। আজ সময় এসেছে আমাদের বাড়ি ঘর ও বেড়ি বাঁধের জন্য আন্দোলনের।
আমাদের দাদা দাদী, মা-বাবার কবরে জোয়ার ভাটা চলছে। আমাদের কাবরের মাটি কোথায়? আমাদের কবরের মাটি রক্ষা করা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাটি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। না হয় প্রজন্ম আমাদেরকে ক্ষমা করবে না। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের মা মাটি ও মাতৃভূমিকে তথা গোমাতলীকে রক্ষা করার আন্দোলনে নামার।
গোমাতলীর সর্বস্তরের জনগণের দীর্ঘ দিনের টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মাণের দাবীতে এক জরুরী বৈঠক বৃহত্তর গোমাতলীবাসীর আয়োজনে আজ ১২/১০/২০১৭ ইং বিকাল ৩ টার সময় কক্সবাজারস্থ হোটেল পালংকিতে অনুষ্টিত হবে এতে কক্সবাজার শহরে বসবাসরত গোমাতলীবাসীসহ সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।