মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে করোনা জীবাণু ধরা পড়া তাবলীগ ফেরত আবু ছিদ্দিক (৭০) কে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেসন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়েছে। আবু ছিদ্দিকের দেহে করোনা ভাইরাস উপসর্গ না থাকলেও অধিকতর নিরাপত্তার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে আইসোলেসনে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে একইদিন সন্ধ্যা ৭ টার পর করোনা রোগী আবু ছিদ্দিককে নিয়ে সরকারি এ্যাম্বুলেন্সটি তার বাড়ি থেকে রওয়ানা দেয়।
বিষয়টি বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত করেছেন। সুত্র আরো জানান, করোনা রোগী আবু ছিদ্দিক মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত হলেও তিনি প্রায় সুস্থ আছেন। তারপরও স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে কম সচেতন হওয়ায় অন্যান্য লোকজনের সংস্পর্শে আসার আশংকা থাকায় তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২০ এপ্রিল তার শরীরের আবার স্যাম্পল পরীক্ষা করা হতে পারে বলে সুত্রটি জানিয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালে আগে থেকেই ৫ বেডের আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা ছিলো।
করোনা রোগী আবু ছিদ্দিক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে জিরো পয়েন্টের কোনার পাড়ার মৃত মোখলেসুর রহমান এর পুত্র। গত ১৭ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে স্যাম্পল টেস্টে তার শরীরে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে। তার দেহে করোনা ভাইরাস উপসর্গ না থাকায় একইদিন বিকেলে তার বাড়ী সহ আশেপাশের এলাকা লকডাউন (Lockdown) করে দিয়ে তাকে হোম কোয়ারান্টাইন রাখা হয়। করোনা রোগী আবু ছিদ্দিককে সার্বক্ষনিক নজরদারিতেও রাখা হয়েছিলো।
উক্ত করোনা রোগী তাবলীগ জামাতে লম্বা চিল্লা দিতে গিয়ে দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছেন। সেখানে তাবলীগে থাকাবস্থায় উক্ত করোনা রোগী করোনা স্বাস্থ্য নির্দেশনা মোটেও মানেননি। গত ৬ এপ্রিল তাবলীগ জামাতের চিল্লা শেষে করোনা রোগী আবু ছিদ্দিক নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধমের নিজ বাড়িতে আসেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।