উখিয়ার পাশ্ববর্তী ঘুমধুম সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক সংলগ্ন ৩১নং সীমান্ত পিলারের সন্নিকটে গতকাল ১৯ মার্চ সকাল ১০ টা থেকে দেড় টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ৩ঘন্টা পর্যন্ত বিজিবি এবং বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাক্ষাতে ৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পক্ষে পরিচালক, অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মনজুরুল হাসান খান এর নেতৃত্বে ২ জন ষ্টাফ অফিসার ও অন্যান্য পদবীর ৬ জন এবং অপরদিকে মিয়নামার ব্যাটালিয়ানের পক্ষে ১ বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, মংডু, মিয়ানমার-এর অধিনায়ক পুলিশ লেঃ কর্ণেল ছ্যা জায়ের লিন এর নেতৃত্বে ৪ জন ষ্টাফ অফিসারসহ অন্যান্য পদবীর ৬ জন বিজিপি সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্টিত সৌজন্য সাক্ষাতে আনুষ্ঠানিক কোন আলোচ্যসূচী না থাকলেও সীমান্ত সমস্যা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। যথাক্রমে আগামী ২২ থেকে ২৮ মার্চ ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত মেইন পিলার-৩১ থেকে ৪০ পর্যন্ত বিজিবি এবং বিজিপি যৌথভাবে সীমান্ত পিলার চেকিং/টহল সম্পন্ন করা, মায়ানমার নাগরিক কর্তৃক অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার, মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং বিজিপি কর্তৃক অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ, অবৈধ মাদকদ্রব্য পাচার রোধ বিশেষ করে ইয়াবা, সীমান্ত এলাকায় মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং বিজিপি কর্তৃক ফায়ারিং, বিজিবি কর্তৃক প্রতিপক্ষের নিকট পত্রালাপ করা হলে সময় মত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নিয়মিত পতাকা বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে আলোচনা/সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় , বিজিবি এবং বিজিপি সমন্বিতভাবে সীমান্ত পরিদর্শন, সীমান্তে যে কোন সমস্যা হলে উভয় পক্ষই অধিনায়ক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে, কোম্পানী/বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে তাৎক্ষণিক সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করার বিষয়ে উভয় অধিনায়কগণ একমত পোষণ করেন এবং মায়ানমারে কারাভোগরত ২৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তর/গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা হয়। এছাড়ার সভায় উভয় পক্ষের সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় বিজিবি-বিজিপি উভয় কমান্ডারগণ সীমান্ত মেইন পিলার-৩১ পরিদর্শন করেন শেষে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সড়ক পরিদর্শন করেন।
৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক মনজুরুল হাসান খান বলেন, সৌজন্য সাক্ষাত অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিনিময় ও আলোচনা শেষে পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা নিদর্শন স্বরুপ উপহার সামগ্রী বিনিময় করা হয়। বিজিবি ও বিজিপি কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় পূর্বের ন্যায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের সীমান্তে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং আন্তঃ সীমান্ত সমস্যা সমূহ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে শান্তিপূর্ণভাবে সৌজন্য সাক্ষাত সমাপ্ত হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।