১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

ঘুমধুম সীমান্তে স্থলমাইন আতঙ্ক

বাংলা নিউজঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও সীমান্ত এলাকার লোকজনের মধ্যে স্থলমাইন আতঙ্ক বাড়ছে।স্থলমাইন বিস্ফোরণে নিহত মো. শাহাজাহান (৩২) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের পর এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রোহিঙ্গারা বলছেন, কোনারপাড়া নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে তাড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে মিয়ানমার। এর ধারাবাহিকতায় এবার সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) মাইন পোঁতা শুরু করেছে।

ঘুমধুম নো ম্যানস ল্যান্ডের মাঝি দিল মোহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি কাঁটাতারের বেড়ার কাছে বিজিপির সদস্যদের আনাগোনা বেড়েছে। সবাই ধারণা করছেন, সীমান্তে তারা স্থলমাইন পোঁতা শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, কোনারপাড়া নো ম্যানস ল্যান্ডে রোহিঙ্গারা অবস্থান নেওয়ার পর থেকে মিয়ানমার সেনারা রাতের বেলায় ঢিল ছোড়া, গুলিবর্ষণসহ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। আমাদের ধারণা, এর ধারাবাহিকতায় এখন তারা স্থলমাইন বসানো শুরু করে।  গত ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্তের তুমব্রু থোয়াইংগাঝিরি থেকে শাহাজাহান নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পের জি ব্লকের বাসিন্দা রুস্তম আলীর ছেলে। সবার ধারণা, স্থলমাইন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এরপর থেকে সীমান্ত এলাকায় আবার স্থলমাইন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

কুতুপালং লম্বাশিয়া এলাকার রোহিঙ্গা নেতা খলিল মাঝি জানান, কুতুপালং লম্বাশিয়া ও মধুরছড়া ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকের বাড়ি সীমান্তের কাছাকাছি। তারা মাঝে মধ্যে নো ম্যানস ল্যান্ড অতিক্রম করে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে মিয়ানমারে যান। এ ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করার জন্য সীমান্তে মাইন পুঁতেছে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির সদস্যরা।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুমসহ আশপাশের সীমান্তে মিয়ানমার সেনাদের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ মাইন বিস্ফোরণে নিহতের পর এলাকায় আবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে।তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে সীমান্তের ঘুমধুম, তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, রেজু, আমতলী সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ে।

ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইমন চৌধুরী  জানান, নো ম্যানস ল্যান্ডে শাহাজাহান নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটির শরীর থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।