কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ার ফুলছড়ি রেঞ্জের সংরক্ষিত বনভূমি দখলে নিয়ে গড়ে তোলা অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করতে গিয়ে দখলবাজ-সন্ত্রাসীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় হামলায় আহত হন তিন বনবিট কর্মকর্তাসহ অন্তত ১০জন কর্মচারী। একপর্যায়ে দখলবাজদের প্রতিরোধের মুখে উচ্ছেদ অভিযান না চালিয়ে প্রাণ নিয়ে ফিরতে বাধ্য হয় তারা। গতকাল বুধবার দুপুর একটার দিকে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের সংরক্ষিত বনের শিয়াপাড়া ও দরগা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের ফুলছড়ি বনবিট কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, নাপিতখালী বনবিট কর্মকর্তা আজমল হোসেন খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া বনবিভাগের আরো অন্তত ৭ জন কর্মচারী, বনজায়গীরদার সামান্য আহত হন।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ফুলছড়ি বিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ২০০৪-০৫ সনে সৃজিত বনায়নের বনভূমি দখলে নিয়ে বিপুল অবৈধ বসতি গড়ে তোলে স্থানীয় দখলবাজচক্র। বনভূমি দখলে নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় তৌহিদুল আলম মিটুর নেতৃত্বে দখলবাজ-সন্ত্রাসীরা। গতকাল বুধবার এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে তৌহিদুল আলম মিটুর নেতৃত্বে দখলবাজ-সন্ত্রাসীরা বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের চারিদিক ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় বনকর্মীদের ওপর। একপর্যায়ে দখলবাজ-সন্ত্রাসীদের কড়া প্রতিরোধের মুখে প্রাণ হাতে নিয়ে অভিযানস্থল থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় বনকর্মীরা।
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী মোকাম্মেল কবির জানান, এ ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে বনভূমি দখলবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখসহ ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। নাম উল্লেখ করা আসামীর নাম খুটাখালীর শিয়াপাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে তৌহিদুল আলম মিটু, আবুল কাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর, নুর আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও নুর হোসেনের ছেলে ধলাইয়া। ##
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।