কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচন গত ২৮ডিসেম্বর সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে টাকা নিয়ে ভোট না দেওয়ায় ৪ইউপি সদস্যকে আটকিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে।
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা, খুটাখালী, ফাসিয়াখালী ও বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জেলা পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডে সদস্য প্রার্থী ছিলেন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী মোক্তার আহমদ চৌং, আমিনুল এহছান চৌং সাইফুল, শাহনেওয়াজ তালুকদার, এডভোকেট ওমর ফারুক শিবলী ও অধ্যাপক সোলতান আহমদ। ওই নির্বাচনে ১৭ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক সোলতান আহমদ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায়, সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক কালো টাকার লেনদেন করা হয়।
নির্বাচনে ইউপি সদস্যরা মসজিদে ঢুকে ও পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে শপথ করে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু ইউপি সদস্যরা একটি ভোটের জন্য টাকা নিয়েছেন একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীরা ভোটের জন্য দেয়া টাকা উদ্ধারে যার যার অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালান।
জানাগেছে, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ৪জন মেম্বার ভোট দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ টাকা। বমূবিলছড়ির নুরুল ইসলাম ও দফাদার আবদুল মন্নানের মধ্যস্থতায় বমূবিলছড়ি ইউনিয়নের মেম্বারদের মধ্যে রয়েছে প্যানেল চেয়ারম্যান মো: শফিকুর রহমান , ৪নং ওয়ার্ড এমইউপি আবদুল আজিজ, ৭নং ওয়ার্ড নজরুল ইসলাম ও ৯নং ওয়ার্ড এমইউপি আবদুর রহিম। তারা জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী আমিনুল এহছান চৌং সাইফুলের কাছ থেকে নিয়েছেন ৭০হাজার টাকা করে, ওমর ফারুক শিবলীর কাছ থেকে নিয়েছেন ৮০হাজার টাকা করে এবং বিজয়ী সোলতান আহমদের কাছ থেকে নিয়েছেন ৫০হাজার টাকা করে।
সর্বশেষ গত ৩০ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বমূবিলছড়ি ফেরার পথে ৪জন মেম্বারকে আটক করে ডুলাহাজারায় নিয়ে যায়। জিম্মি করা ওই মেম্বারদের পরে নিয়ে যাওয়া হয় খুটাখালীতে। এডভোকেট শিবলী ও সাইফুলের সাথে অভিযুক্ত মেম্বারদের মধ্যে রফাদফা শেষে গতকাল ৩১ডিসেম্বর টাকা আদায় ও মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।