১১ মার্চ, ২০২৫ | ২৬ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১০ রমজান, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি   ●  টেকনাফে ১০০০ জেলে পরিবারকে সহায়তা করছে কোস্ট ফাউন্ডেশন   ●  আল-নুর ইন্টান্যাশনাল মাদ্রাসা’র বই বিতরনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  টেকনাফে গহীন পাহাড়ে বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু!   ●  কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে ‘হাসিনার ভূত’ .নৈশভোটের মাস্টারমাইন্ড ইয়ামিন বহাল তবিয়তে   ●  কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যোগদান করলেন ডা. আরিফা মেহের রুমী   ●     ●  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের কবর জিয়ারত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দল   ●  চকরিয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনকে আটক

চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী থেকে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

chakaria-picture-27-10-2016
কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারি নীতিমালা থাকলেও জড়িত বালু দস্যুরা তা অমান্য করে বহাল তবিয়তে চালাচ্ছে এ ব্যবসা। উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নদীর পয়েন্টে এভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক মেম্বার সাকের উল্লাহ’র নেতৃত্বে প্রভাবশালী চক্র। এভাবে বালু উত্তোলনের কারনে বর্তমানে ওই এলাকার অন্তত দুই শতাধিক বসতবাড়ি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বালু উত্তোলন নির্মিতব্য পাউবো’র দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তীর সংরক্ষন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। অভিযোগ উঠেছে, নদী থেকে এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলেও ভ্রাম্যমান আদালত এব্যাপারে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি অদ্যবদি।
পাউবো’র নির্মাণ কাজে জড়িত ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের লোকজন অভিযোগ করেছেন, প্রতিরক্ষা উন্নয়ন কাজের প্রকল্প এলাকা ঘেষে মাতামুহুরী নদী থেকে বছর ধরে এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে গেল বর্ষা মৌসুমে প্রকল্প এলাকায় নদী তীরে ব্যাপক ভাঙ্গনের শুরু হয়। এ অবস্থার কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান বিপুল টাকা খরচ করে অনেক চেষ্টা করেও নির্মাণ কাজটি চলতিবছর জুনমাসে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও তা করতে পারেনি।
স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হলে এবছরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিতব্য প্রতিরক্ষা কাজটি যথাসময়ে সমাপ্ত করতে পারবে না ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। এতেকরে এলাকার লোকজন নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলার একাধিক বালু ইজারাদার জানিয়েছেন, প্রশাসনের কাছ থেকে বিপুল টাকা রাজস্ব দিয়ে তাঁরা বালু মহাল ইজারা নিলেও মাতামুহুরী নদী থেকে এভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন পুর্বক ব্যবসা চালু থাকার কারনে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এব্যাপারে প্রশাসন অভিযুক্ত অবৈধ বালু লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসা মন্দার কারনে ইজারাদাররা সরকারি বালু মহাল ইজারা নিতে অনীহা জানাবেন।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী সাকের উল্লাহ বলেন, মাতামুহুরী থেকে এভাবে বালু উত্তোলনে প্রশাসনের কোন ধরণের অনুমতি নেই। আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা ও সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান। তাই আমার সরকারের আমলে ব্যবসা করতে প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়ার দরকার কি। তিনি বলেন, বালু গুলো মুলত উত্তোলন করা হচ্ছে সরকারি উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করার জন্য। আমরা বাইরে ব্যবসা করছিনা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম প্রিয় চট্টগ্রামকে বলেন, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ইতিপুর্বে একবার লোক পাঠিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তাঁরা আবারো বালু উত্তোলন করলে সহসা অভিযান চালিয়ে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।