চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক এগিয়ে গেছে অন্যতম উপজেলা চকরিয়ার বুকের উপর দিয়ে। উপজেলার ব্যস্ততম শহর চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড তথা চিরিংগার যানজট দেখে মনে হয় এ যেন নিত্য দিনের কিছু। দিন দিন অনিয়ন্ত্রিত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে যানজট। এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। এই ভয়াবহতার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেনা কোমলমতি সম্ভাবনাময় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরাও। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাঁচাবাজার রোড হয়ে যাতায়াত করতে হয় চকরিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরকে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা জানায় দিন দিন অনিয়ন্ত্রিত হারে যানজট বৃদ্ধি পাওয়াতে তাদের যাতায়াতে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ। যথা সময়ে উপস্থিত হতে না পেরে একাধিকবার ক্লাস মিস করতে হয়েছে এবং বাড়ী ফিরতে বিলম্ব হওয়াতে বাবা-মা দুশ্চিন্তায় থাকেন প্রায়ই। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে পরীক্ষার্থীদের যাওয়া আসাতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। এর ফলে অফিসগামী, চাকুরীজীবিদেরও পড়তে হয় বিপাকে। ভোক্তভোগীরা এর জন্য দোষছেন নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ী চালানো এবং যত্রতত্র বেপোরোয়াভাবে পার্কিং করাকে। তারা জানায় কাচা বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মালবাহী ট্রাক প্রতিনিয়ত পণ্য লোড আনলোড করে এবং দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে। ফলে ঐ রোডেও যানজট আঠারমতো লেগে থাকে নিয়মিত। চকরিয়া বিমান বন্দর রোড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুচ্ছফি জানান আমরা মেনে নিচ্ছি যে, যানজটের সিংহভাগের জন্য আমরা দায়ী, আমরা গভীর রাতে মাল আনা নেওয়া করি, লোড আনলোড করি এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ভোর হওয়ার আগেই মালবাহী ট্রাক বিদায় করে দিতে। এদিকে মহাসড়কের দুপাশ ঘিরে গড়ে উঠা ভাসমান বাজার এবং ফুটপাট গুলোকে যানজটের প্রধান কারণ হিসেবে অবহিত করেছেন জনতা। ভাসমান বাজার এবং ফুটপাট মালিকেরা স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের সাথে মৌখিক চুক্তির বিনিময়ে বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ের মহোৎসব। পৌর শহরের মাতামুহুরী ব্রিজ হতে শহিদ আব্দুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল এলাকা জুড়ে কম বেশি সৃষ্টি হয় যানজটের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী দৈনিক রূপালী সৈকত কে বলেন পৌর শহরের যানজট আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে এবং আমরা ইতিমধ্যে যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে কাচাবাজারগুলো স্থানান্তর করেছি বাস টার্মিনাল এলাকায়। তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের দু’কূল ঘেষে গড়ে উঠা ভাসমান বাজার এবং অবৈধ দোকানপার্ট উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি আমরা। এছাড়াও যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের কমিউনিটি পুলিশ দিবানিশি বিচক্ষণতার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। অচিরেই আমরা যানজটমুক্ত পৌর শহর উপহার দিতে সক্ষম হব ইন্শাআল্লাহ। এদিকে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে অনতিবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পৌর মেয়রসহ প্রশাসনকে আহ্বান করেন সাধারণ জনতা, ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী চাকুরীজীবি ও সর্বোপরি স্কুল কলেজ এবং মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।