ছদ্ম নামের ৯ বছর বয়সের মেয়ে শিশুটির জন্মের সাতবছর পর পারিবারিক মনোমাল্যিনে সংসার ভেঙ্গে গেছে মা ও বাবার। তাঁরা ইতোমধ্যে নতুন করে ফের সংসার পেতেছে। কিন্তু হতভাগ্য শিশুটির আশ্রয় হলো নানার বাড়িতে। মামা মহিউদ্দিন রিয়াদ তাকে লালন পালন করছিলেন ভালভাবে।
তাতে শিশুটির যত্ব সঠিকভাবে হচ্ছেনা এমন অভিযোগ তুলেন লম্পট খালু কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের শহরিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৬)।
তার আবদারের প্রেক্ষিতে মামা মহিউদ্দিন রিয়াদ শিশুটিকে লালন পালনের জন্য তুলে দেন দিদারুল ইসলামের হাতে। এরপর থেকে শিশুটি লালন পালন হচ্ছে খালু দিদারুল ইসলামের বাড়িতে।
মামা মহিউদ্দিন রিয়াদ জানান, মা-বাবার সংসারে ডির্ভোস হওয়ার পর থেকে শিশুটি আমার বাড়িতে ছিল। কিন্তু আমার অপর বোনের স্বামী দিদার শিশুটিকে লালনের পালনের জন্য নিয়ে যেকে রাজী হওয়ায় বছর আগে তার হাতে তুলে দেয়া হয় ওই শিশুকে (ভাগ্নীকে)।
মহিউদ্দিন জানান, কয়েকমাস আগে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমার বোনের অনুপস্থিতিতে লম্পট ভগ্নিপতি দিদার কৌশলে ওই শিশুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করছে।
এরপর আমি গত ১৩ নভেম্বর চকরিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় লম্পটের বাড়ি থেকে শিশুটিকে (ভাগ্নী) উদ্ধার করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। তার কাছ থেকে ঘটনার ব্যাপারে অবগত হই। জানতে পারি বিবর্ষ এ অণৈতিক কর্মের ঘটনা।
মামা মহিউদ্দিন রিয়াদ জানান, শিশু ভাগ্নীটি তার কাছে লম্পট ভগ্নিপতির সব অপকর্মের বর্ণনা দেন। বর্ণনা মতে আমার ভাগ্নী জানায়, লম্পট দিদার বাড়িতে তার স্ত্রী (আমার বোন) না থাকার সুযোগে ওই শিশুকে ধর্ষন করে।
সর্বশেষ গত ৬ নভেম্বর সকালে বাড়িতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে লম্পট দিদার। বর্তমানে শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গাইনী সার্জনের তত্তাবধানে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুটির মামা মহিউদ্দিন রিয়াদ বলেন, বিষয়টি চকরিয়া থানা পুলিশকে জানানো হলে প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে বদরখালী পুলিশ ফাড়ির আইসি এসআই মাহাবুবর রহমান অভিযুক্ত লম্পট দিদারুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন।
এব্যাপারে তিনি (মামা মহিউদ্দিন রিয়াদ) বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে গত ২৩ নভেম্বর চকরিয়া থানায় একটি মামলা (৩২) দায়ের করেছেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে লম্পট দিদারুল ইসলামকে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মামা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষককে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে আক্রান্ত শিশুটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।