চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী আবদুর রহমান ও তার ভাই সামসুল আলমের হাতে নানা অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ জনগন। দুই সহোদর চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্নগ্রামের মৃত মোজাফফর আহমদের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে রীতিমত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত আবদুর রহমান ও তার ভাই সামসুল আলমের বিরুদ্ধে ভুমিদস্যুতা, চুরি ডাকাতি, লুটপাট ও অপহরণ মামলা সহ চকরিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা থাকার পরও পুলিশ তাদের কখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। এমন কী একটি মামলায় দুইজনের দেড় বছর করে সাজা হলেও তাঁরা এলাকায় প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, খুটাখালী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্নগ্রামে তাদের পৈতৃকভাবে তেমন সম্পত্তি না থাকলেও এলাকার নিরীহ মানুষের জমি জবরদখল করে ভোগ দখল করছেন। এই সহোদরের নেতৃত্বে পূর্নগ্রামের নিরহ মানুষের জমি দখল, চুরি-ডাকাতি ও অপহরণের মতো ঘটনা নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের কাছে বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্রের পাশাপাশি লাইসেন্স করা বন্দুকও রয়েছে। এসব অস্ত্র ডাকাত ও ভূমিদস্যুদের ভাড়া দেন বলে জানান ¯’ানীয় লোকজন।
এদিকে এলাকাবাসি জানান, ১৯৯৪ সালে আবদুর রহমান ও তার ভাই সামসুল আলমের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা নং জিআর ১১/৯৪। আরও একটি মামলা নং জিআর ৪২/৯৮ ইং রয়েছে। এরমধ্যে জিআর ১১/৯৪ মামলায় কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে দুই সহোদরের বিরুদ্ধে দেড় বছর কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুইমাসের কারাদন্ড দেন আদালত। আদালতে তাদের সাজা হলেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এরপর থেকে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা অপরাধ কর্মকান্ড করেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়া”েছ। এতে পূর্নগ্রামবাসির মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বসতভিটা-জায়গা কিংবা চাঁদা দাবি করেন তাই নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হ”েছ সাধারণ মানুষের। ফলে তাদের অত্যাচার আর হুমকিতে এখন অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
এলাকাবাসি জানিয়েছেন, দুই সহোদর পুলিশের চোঁখ ফাকি দিয়ে ইতোমধ্যে বিদেশ যাওয়ার জন্য কার্যক্রম শেষ করেছে। যে কোন মুহুর্তে তাঁরা পালিয়ে যাবে। এলাকাবাসি তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। #
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।