নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ফের পশুর হাট বসানোর পাঁয়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র। চক্রটি আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সেই বিতর্কিত বাজারটি বসানোর খবরে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন অবৈধ পরিচালনা করা বাজারটি বন্ধ করে দেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বাজারটি চালিয়ে আসছে। সপ্তাহে প্রতি রোববার এবং বৃহস্পতিবার এই বাজারটি বসানো হতো। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হয়। এমনকি এই বাজারের কারণে ওই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার হলও অন্যত্রে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। কারণে স্কুলগামী ছাত্র- ছাত্রীদের সমস্যার পাশাপাশি বদরখালী- চিরিঙ্গা সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটে আসছে।
গত ৩ জুন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল দরবেশী এই বাজার অনুমতি না দিতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন,দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত এই বসজারটি পুনরা বসানো হলে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
ইকবাল দরবেশী বলেন, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে অবৈধভাবে এ বাজার বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসলেও সাবেক প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির কারণে বাজারটি বন্ধ করা যায়নি।
তবে গত জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসন বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
যোগাযোগ করা হলে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ্ বলেন,স্কুল মাঠে বাজার ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে শুনিছি। জনস্বার্থে যদি হাট বসাতে হয়,তাহলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার শর্তে বসানোর অনুমতি দেওয়া হবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ফখরুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট স্কুল কমিটির অনাপত্তি থাকলে অস্থায়ী ভিত্তিতে হাট বসানোর অনুমতি দেবেন জেলা প্রশাসক। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।