কক্সবাজারের চকরিয়ার চিংড়ি জোন এলাকায় ২ টি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম সহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোন চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ একানব্বই একর পাড়া ও চারালিয়া বেড়িবাঁধের গোড়া এলাকায় দুটি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে রবিবার ভোররাতে বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য ঝটিকা অভিযান চালায়। এ সময় অস্ত্র তৈরির কারখানা দুটি থেকে উদ্ধার করা হয় ২০টিরও অধিক দেশিয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ। কারখানা দুটি থেকে আটক করা হয় ৬ জন সন্ত্রাসীকে। তন্মধ্যে অস্ত্র তৈরির কারিগরও রয়েছে বলে র্যাব সূত্র জানায়। এ ব্যাপারে বিকেলে কক্সবাজারস্থ র্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও র্যাব জানায়।
আটককৃত ৬ জনের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমণি লালব্রিজ এলাকার নুরে আলম (৩৪), ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ডাকাত নুরুল্লাহ ওরফে নুরু মিয়া (৩৭) ও চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপস্থ ভেওলা পাড়ার আবদুল মান্নান (৩৫)।
র্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের ইনর্চাজ মেজর মোহাম্মদ হাসান তারিক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোর রাত থেকে সকাল ১১ পর্যন্ত চকরিয়ার চিরিংগা ইউনিয়নের চিংড়ি জোন খ্যাত চরনদ্বীপ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২ টি অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ ৬ জনকে আটক করে করতে সক্ষম হয় র্যাব-৭।
র্যাব সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোন চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরণদ্বীপ এলাকায় চিংড়িঘেরের কাছে অস্ত্র তৈরির কারখানা দুটির সন্ধান পায়। সেখানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ রয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে র্যাব অভিযান চালায়।
অভিযানে নেতৃত্বে দেন র্যাব-৭ চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণাধীন কক্সবাজারস্থ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো. শরাফত ইসলাম ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গাস্থ র্যাবের এএসপি শাহেদা আক্তারের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য। এ সময় কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় তৈরি বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। আটক করা হয় ৬ জনকে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মো. শরাফত ইসলাম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুটি অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ ২০টির অধিক হবে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৬ জন সন্ত্রাসীকে আটক করি। তন্মধ্যে অস্ত্র তৈরির কারিগরও রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে পরে।’
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।