কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় র্যাবের অভিযানে অস্ত্র ব্যবসায়ীসহ একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে। মাত্র পক্ষকালের মধ্যে দু’উপজেলা থেকে ১৫টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এসব অস্ত্র স্থানীয়ভাবে তৈরী। এই অস্ত্র এলাকায় অপরাধ কর্মে ব্যবহারের পাশাপাশি কক্সবাজার-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের কাছে বিক্রয় হচ্ছিল।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটায় অভযান চালায় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব-৭) কক্সবাজার ক্যাম্প। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২টি ওয়ান শুটার গান ও ১ টি একনালা বন্দুক এবং ৪ রাউন্ড কার্তুজ।
র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মছনিয়াকাটা গ্রামের মৃত গুরা মিয়ার ছেলে মো.ইলিয়াছ, একই গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে জয়নাল আবেদিন ও ওই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে মোহাম্মদ আলী। এঘটনায় চকরিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে র্যাব।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সোহেল মাহমুদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোর রাতে র্যাবের অফিসার লেঃ আশেকুর রহমান এবং সিনিয়র এএসপি মো.সোহেল মাহমুদ এর নেতৃত্বে একদল র্যাব টিম চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটায় অভিযান চালায়। এসময় ওই গ্রামের মোঃ ইউনুছের পানের দোকানের সামনে (মছনিয়াকাটা থেকে উত্তর ডেবলতলী কাঁচা রাস্তার উপর) থেকে অস্ত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র বেচাকেনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.কামরুল আজম বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে অস্ত্র ও কার্তুজসহ রাতেই চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করেছেন। এঘটনায় র্যাব বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।