কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীতে নতুন করে অবৈধ বোট তৈরির কাজে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ফার্ণিচার ব্যবসায়ীরাসহ একটি প্রভাবশালী মহল। উক্ত ব্যবসায়ী ফার্ণিচার ব্যবসার আড়ালে স্থানিয় পুলিশ ফাঁড়িকে ম্যানেজ করে সরকারী বনবিভাগের মাদার ট্রি দিয়ে নির্মাণ করে যাচ্ছে এসব অবৈধ লবণের বোট।
সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বদরখালী বাজারের পশ্চিম পাশ্বের বিভিন্ন পয়েন্টে চলতি মৌসুমে মাদার ট্রি গর্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির চোরাইকৃত কাঠ দিয়ে অবৈধভাবে নতুন বোট তৈরীর হিড়িক চলছে। স্থানিয় এলাকাবাসী জানান, বদরখালী বাজার সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে বন বিভাগের যোগসাজসে সরকারী বন বিভাগের মাদার ট্রি গর্জনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ কেটে অবৈধ স-মিলে চিরাই করে বোট নির্মাণ করছে প্রভাবশালী এ চক্রটি। এ চক্র তৈরীকৃত বোট চড়া দামে বিক্রি করে দেয় ব্যবসায়ীদের কাছে। অভিযোগ উঠেছে, বদরখালী বাজারের ওয়াপদা সড়কের একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা সাথে আতাঁত করে কাঠ চোরদের মাধ্যমে বছরের পর বছর সরকারী বনাঞ্চলের মাদারট্রি গর্জন গাছ কেটে গোপনে স-মিলে চিরাই করে এসব বোট তৈরী করলে বনবিভাগ রয়েছে নিরব।
এ ব্যাপারে জানতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিএম জসিম উদ্দিন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধরনের অবৈধ বোট তৈরীর কথা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার সাহেদুল ইসলাম প্রিয় চট্টগ্রামকে বলেন, অবৈধ পস্থায় কোউ যদি বোট তৈরি করে তা হলে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।