চকরিয়া উপজেলার কোনাখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল বেদখলকে কেন্দ্র করে হামলায় মহিলা সহ ৫ ব্যক্তিকে বেদড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদেরকে প্রথমে চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের অব¯’া গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের মধ্যে রইচা বেগম নামে এক মহিলাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড শহর আলী পাড়া সেনঘোনা নামক এলাকায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শহর আলী পাড়ার সেনঘোনা এলাকার মাহাত আকবরের স্ত্রী রইচা খাতুন পরিবার পরিজন নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্দোবস্তিকৃত জায়গায় বসবাস করে আসছিল। ইতোপূর্বে ওই জায়গা থেকে মৃত আদর মিয়ার পুত্র নুরুল আলম তার দলবল নিয়ে আংশিক জমি দখল করে নেন। এতে নিরুপায় হয়ে রইচা খাতুন বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করে।
মামলার প্রেক্ষিতে সর্বশেষ কয়েকদিন আগে রইচা বেগমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্ত নুরুল আলম ও তার লোকজন। তাদের বেদড়ক পিটনিতে আহমদ আকবরের স্ত্রী রইচা বেগম (৩৫), মৃত ফজল আহমদের পুত্র মাহাত আকবর (৪২) কে গুরুতর আহত করে। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২নং ওয়ার্ড নতুনঘোনা এলাকায় ছৈয়দ আকবরের পুত্র রেজাউল করিম (২২), ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার আজম উদ্দিনের স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (২৮), ছৈয়দ আকবরের কন্যা মোছাম্মৎ লাকী আক্তার (২৪) আহত হয়।
এই ঘটনায় মধ্যম কোনাখালী ৩নং ওয়ার্ডের শহর আলী পাড়া এলাকার আদর মিয়ার পুত্র নুরুল আলম, নুরুল আলমের পুত্র কাইছার মিয়া, ১নং ওয়ার্ড বাজার পাড়া এলাকার মৃত কালা মিয়ার পুত্র আমির হোসেন, মধ্যম কোনাখালী নুরুল আলমের পুত্র হাসু মিয়া, বাজার পাড়া এলাকার মোস্তাক আহমদের পুত্র আলা উদ্দিন, মধ্যম কোনাখালী শহর আলী পাড়া এলাকার নুরুল আলমের কন্যা ছালেহা বেগম, নুরুল আলমের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম, কাইছারের স্ত্রী মোছাম্মৎ সাজেদা বেগম সহ আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আহত রইজা খাতুনের কন্যা জুলেখা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।