কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ীর আইসি এসআই মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। তার বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে বদরখালীতে প্রকাশ্যে চলছে মদ, জুয়া, হিরোইন, ইয়াবা ও নারীদেহ ব্যবসা। ইতি পূর্বে বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ী মাসিক মাসোহারা নিয়ে বদরখালী পাশ্ববর্তী মহেশখালী কেন্দ্রেীক অবৈধ বালি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা চলছে হরদম।
বদরখালী পুলিশ ফাঁড়িতে এসআই মাহবুবুর রহমান যোগদানের পর থেকে উক্ত বালি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্তি মাসোহারা আদায় করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চালিয়াতলীর এক বালি ব্যবসায়ী বলেন তারা অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করায় গত শনিবার তাদের ৩ টি বালির ডাম্পার আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। দেনদরবারের মধ্যস্থতাকারী সূত্রে জানা যায়, তাদের মাসোহারা যথা সময়ে আদায় করবে মর্মে অঙ্গিকার করে ধৃত ডাম্পার প্রতি ২০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা নগদ আদায় করে ডাম্পার গুলো ছেড়ে দেয়। গতকাল রবিবার একই নিয়মে বালিবাহী ডাম্পার পুলিশের সহযোগিতায় চলতে দেখা গেছে।
উল্লোখ, এ পুলিশ কর্মকর্তা চকরিয়া থানায় নিয়মিত অবস্থান করে শুধু বিকালের দিকে বদরখালী ফাঁড়ীতে এসে রাজনৈতিক নেতা বা বিভিন্ন নামধারী একশ্রেণীর দালালের নিয়ন্ত্রণে চলছে জম্পেশ সালিশ বাণিজ্য। সালিশী বৈঠকের নামে এসব নামধারী ব্যক্তিরা ফাঁড়িকে ঘিরে গড়ে তুলেছে বিচারশালা। ফলে পুলিশের নিকট আসা বিচার প্রার্থীরা পড়ছেন চরম বিপাকে । ফাঁড়ির অভ্যন্তরে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এদের নিরাপদ বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। সরেজমিন দেখা যায়, ফাঁড়িতে কোন সেবা প্রার্থী প্রবেশ করা মাত্র বিভিন্ন কৌশলে সেবা প্রার্থীদের তারা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অভিযোগ শোনেন। অভিযোগের ধরণের ওপর নির্ভর করে সালিশ প্রক্রিয়া ও আর্থিক লেনদেন। সচেতন লোকজন বলেন, চক্রটি পুলিশের সহযোগিতায় ভুক্তভোগিদের যে কোন এক জনের পক্ষ হয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আপোষ রফা-দফার কাজে উক্ত এস আই আসার পর থেকে জড়িত রয়েছে। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, এসব ফড়িয়া ও দালালদের দেনদরবারে বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ি এখন বিচারশালাতে ( সালিশ দরবার) পরিণত হয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয় , বিভিন্ন দাগী, ফেরারী ও নারী মামলার আসামী আটক করবে বলে দালালদের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে মাসিক মাসোহারা আদায় করছে বলে অভিযোগও উঠেছে এ পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে। তা ছাড়া মাদক ও জুয়ার আসর থেকে প্রতিনিয়ত আদায় করছে হাজার টাকা। মোট কথা পুলিশ ফাঁড়ীর চাঁদাবাজীর কারনে এ আইসি যোগদানের পর থেকে বদরখালীর আইন শৃংখলার চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসি।
বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এস,আই মাহবুবুর রহমান কাছে এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে তিনি তা অস্বিকার করেন।
চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই, তবে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।