২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

চকরিয়ায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, দুইপক্ষে সংঘর্ষের আশঙ্কা!

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়া পৌরশহরের সোসাইটি এলাকায় একটি প্রভাবশালী দখলবাজ চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জায়গার মালিকপক্ষের ছেনুয়ারা বেগমের মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বিবাদিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করলেও গতকাল ৭ নভেম্বর সকাল থেকে অভিযুক্ত বিবাদিরা দাপটের সাথে রীতিমত পাহারা বসিয়ে ফের সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এ অবস্থার কারনে এলাকায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে জায়গার দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

ইতোপুর্বে জায়গা দখল চেষ্ঠার ঘটনায় মালিকপক্ষের অংশিদার ও চকরিয়া হাসপাতাল পাড়া গ্রামের আলী আহমদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম বাদি হয়ে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা (নং ৭০২/১৭) রুজু করেন। এতে বিবাদি করা হয় একই এলাকার মৃত করিম দাদের ছেলে খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ শফি, প্রতিবেশি জয়নাল আবদীন, মৃত ফজল করিমের ছেলে মোহাম্মদ আনিছ, ইসমাইল, মোহাম্মদ জকরিয়া, সালাহউদ্দিনসহ সাতজনকে।
আদালতের বিচারক বাদির অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিবাদিপক্ষকে নালিশী জায়গায় কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু স্থানীয় বিচারকের প্ররোচনায় বিবাদিপক্ষ সম্প্রতি সময়ে ফের ওই জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে বাদিপক্ষ বাঁধা দেন। এতে বিবাদিপক্ষের হামলায় মধ্যস্থতাকারী হাজি জহির আহমদ সওদাগরসহ দুইজন আহত হন। ঘটনার পর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে আদালতের নির্দেশ মতে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করা হয়।

মামলার বাদি ছেনুয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন, তাদের মালিকানাধীন চিরিঙ্গা মৌজার বিএস ৫৮ খতিয়ানের ৪২২ ও ৮২৭ দাগের চার শতক জায়গা এবং বিএস ৮০৬ নম্বর খতিয়ানের অর্ন্তভুক্ত জায়গায় তাঁরা শান্তিপুর্ণভাবে ভোগদখলে রয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্ত বিবাদিরা কয়েকমাস আগে পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে জোরপুর্বক তাদের (বাদি পক্ষের) জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে অবৈধ স্থাপনা (বহুতল মার্কেট) নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি এমআর মামলা রুজু করেন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদিপক্ষের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করেন।

বাদি ছেনুয়ারা বেগমসহ জায়গার অংশিদাররা অভিযোগ করেছেন, আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযুক্ত আসামিরা স্বশস্ত্র পাহারা বসিয়ে ফের সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এ ঘটনায় মামলার বাদিসহ জায়গার মালিক পক্ষের লোকজন বড় ধরণের সংর্ঘষ এড়াতে বিবাদিপক্ষের বিরুদ্ধে তড়িৎ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।