এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল আবছার নামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার ঘটনায় আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে দায়ের করা মামলার আসামি আইনজীবি সহকারি হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে। গতকাল বুধবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানালে আদালতের বিচারক মামলার শুনানী শেষে আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আইনজীবি সহকারি হেলাল উদ্দিন চকরিয়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের কাহারিয়া খামার এলাকার মৌলভীর নুরুল আলমের ছেলে।
চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের পেশকার মো.লুৎফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালত এক নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি ঘটনায় স্ব-প্রণোদিত হয়ে চারজন আইনজীবি সহকারির বিরুদ্ধে ইতোপুর্বে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। তারমধ্যে আইনজীবি সহকারি হেলাল উদ্দিন অন্যতম আসামি। গতকাল বুধবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে হেলাল উদ্দিন জামিনের আবেদন করেন। ওইসময় আদালতের বিচারক মামলার শুনানী শেষে আসামি আইনজীবি হেলাল উদ্দিনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের মধ্যম কোনাখালী গ্রামের নুরুল আবছার নামের এক ব্যক্তিকে মামলায় জড়িয়ে জেলহাজতে পাঠানোর পর আদালত মামলাটি তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে চকরিয়া থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। তিনি বলেন, পুলিশের প্রতিবেদনে নুরুল আবছারকে হয়রানিমুলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে আদালতের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানীকালে আদালতে নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খারিজ করে দেন। একই সাথে আদালতের বিচারক স্ব-প্রণোদিত হয়ে ঘটনায় জড়িত চার আইনজীবি সহকারি বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
পরোয়ানাভুক্ত আইনজীবি সহকারিরা হলেন মো.আবদুল কালাম (কার্ড নং ৫৬৮), মোহাম্মদ ইসমাইল (কার্ড নং ৫৯১), বখতিয়ার উদ্দিন মো.হেলাল উদ্দিন (কার্ড নং ৬১০) ও মৌলানা মোজাদ্দীদুল ইসলাম (কার্ড নং ৪৬৩)।
তাদের মধ্যে আইনজীবি সহকারি মোহাম্মদ ইসমাইলকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর চকরিয়া থানার এএসআই নাজেম উদ্দিনসহ সঙ্গিয় পুলিশদল উপজেলা সড়কের গ্রামীন ব্যাংক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
অপরদিকে গতকাল আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন জানালে মামলার অপর আসামি হেলাল উদ্দিনকে জেলহাজতে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালত।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।