চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নে নিরীহ এক ব্যক্তিকে আটক করার পর বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে থাকা সোর্স বেলাল উদ্দিনকেও (৩৫) উত্তেজিত জনতা ধরে গণপিটুনি দেয়। সেও গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার রাত আটটার দিকে ইউনিয়নের মাঝেরফাঁড়ি স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের পিটুনিতে আহত ব্যক্তির নাম মিনার উদ্দিন জিকু (২৮)। তিনি উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মাঝেরফাঁড়ি গ্রামের বশির আহমদের ছেলে। জনতার পিটুনিতে আহত সোর্সের নাম বেলাল উদ্দিন (৩৫)। তিনিও একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজমেস্ত্রী মিনার উদ্দিন জিকুকে বন্দুকের বাট দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেওয়ার সময় পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ জনরোষ থেকে বাঁচতে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ে।
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. শওকত ওসমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন, মিনার উদ্দিন জিকু নামের এক নিরীহ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে দাবি করে পুলিশ তাকে ধরতে গেলে এই লঙ্কাকা- ঘটে।
অভিযানে যাওয়া চকরিয়া থানার এএসআই আবদুর রাজ্জাক দাবি করেন, মিনার উদ্দিন জিকু নামের কাউকে পুলিশ বন্দুকের বাট দিয়ে পেটায়নি। এমনকি বেলাল নামের কোন ব্যক্তি সোর্স হিসেবে পুলিশের সঙ্গে ছিল না। আর পুলিশের কোন সদস্যও আহত হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।