কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই কৃষকের মারামারির ঘটনায় বিচার করতে একটু বিলম্ব করার জেরে উল্টো ইউপি মেম্বার জাহিদুল ইসলাম সিকদারকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ইউপি মেম্বারের পাশাপাশি এলাকার লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগে ইউপি মেম্বার জাহিদুল ইসলাম সিকদার জানান, তার বাবা মনোহর আলম সিকদারের পারিবারিক জমি বগা নিয়ে চাষ করেন রেজাউল করিম ও আবদুল হান্নান নামের দুই ব্যক্তি। অপরদিকে চাচা এটিএম ইসমাইল সিকদারের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করেন ফারুক নামের অপর একজন। কিছুদিন আগে দুই পরিবারের চাষাদের মধ্যে জমির সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ২১ অক্টোবর ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের চাষা তার (ইউপি মেম্বার) কাছে বিচার দেন।
মেম্বার জাহিদুল সিকদার দাবি করেন, ২২ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে অংশ নিতে তিনি ঢাকায় যান। এ কারনে যথাসময়ে ঘটনার বিচার করতে সময় পাননি। এ সুযোগে চাচা এটিএম ইসমাইল সিকদারের চাষা ফারুক আগের ঘটনার জের ধরে পাশের কাকারা ইউনিয়নের শাহওমরাবাদ এলাকা থেকে কিছু ভাড়াটে লোক জড়ো করে কৃষক রেজাউল করিমের ক্ষেতে হানা দিয়ে বেগুন ও মরিচ ক্ষেত কেটে ফেলে। মুঠোফোনে ঘটনাটি জানার পর তিনি উভয়পক্ষকে বলেন, ঢাকা থেকে ফিরলে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগী ইউপি মেম্বার জাহিদুল সিকদার দাবি করেন, ঘটনাটি জানার স্থানীয় সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক পরিষদের চৌকিদার পাঠিয়ে কৃষক রেজাউল ও হান্নানকে পরিষদে ডেকে আনেন। পরে তাঁরা চেয়ারম্যানকে ঘটনাটি জানান এবং এব্যাপারে আমাকে জানানো হয়েছে বলেও অবহিত করেন। কিন্তু ২৮ অক্টোবর সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান এবং কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমানসহ বসে বিষয়টি সমাধানের কথা থাকা সর্ত্বেও উল্টো কৃষক আবদুল হান্নানের ভগ্নিপতি হয়রানীর উদ্দেশ্যে উল্টো চকরিয়া থানায় তাকে (ইউপি মেম্বার) আসামি করে একটি সাজানো মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইউপি মেম্বার জাহিদুল ইসলাম সিকদার চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসি’র কাছে নিরপেক্ষ তদন্তপুর্বক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।