কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় রাস্তা পারের সময় ‘ছয় ভাই নিহতের ঘটনায়’ পিকআপ মালিককে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশন-পিবিআই। পিবিআই কক্সবাজারের পরিদর্শক এনামুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার ভোর রাতে চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়-ভেওলা এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক মাহামুদুল করিম (৪০) চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়-ভেওলা এলাকার শামশুল আলমের ছেলে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিকআপ চালক সাইদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে র্যাব।
গত ৮ ফেব্রুয়ারী ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট রিংভং এলাকায় প্রয়াত বাবার শ্রাদ্ধ উপলক্ষে নয় ভাই-বোন মিলে শ্মশানে পুজা দিতে যান। সেখান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পিকআপের ধাক্কায় ওইদিন পাঁচ ভাই নিহত হন। এতে আহত হন তাদের ভাই রক্তিম সুশীল ও বোন হীরা রানী সুশীল।
এ ঘটনায় নিহতদের ভাই পল্লব সুশীল বাদী হয়ে পিকআপ চালককে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তভার প্রথমে হাইওয়ে পুলিশকে দেওয়া হলেও পওে পিবিআই এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারী সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রক্তিম সুশীলও মারা যান।
পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, চকরিয়ায় মর্মান্তিক হওয়ার সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় ভাই নিহতের মামলাটি পিবিআই এর কাছে হস্তান্তরের পর পুলিশ পিকআপ মালিকের সন্ধানে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া উপজেলায় পিকআপ মালিক মাহামুদুল করিম আবস্থান করছে খবরে পুলিশের একটি দল অভিযানে যান। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে সটকে পড়ে।
পরে মঙ্গলবার ভোররাতে পিকআপ মালিক মাহামুদুল করিম চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড়-ভেওলা এলাকা নিজের বাড়ী অবস্থান করছে খবরে পিবিআই দলটি অভিযান চালিয়ে আটক করেছে। ”
মঙ্গলবার দুপুরে আটক পিকআপ মালিককে কক্সবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান পিবিআই এর পরিদর্শক।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।