চকরিয়ায় জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় সাবেক পৌর কাউন্সিলরসহ ১০জনের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ অক্টোবার উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইলের স্ত্রী জেবুন্নেচ্ছা বেগম। মামলায় আসামি করা হয়েছে পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জসীম উদ্দিন, তার ভাই এমরানুল আহসান, নুরুল ইসলাম, সিরাজ ও এরশাদসহ ৫জনকে। একই সাথে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ৪-৫জনকে।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা আদালতের সামনের বিলে এমরানুল আহসান ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান ইতি’র নামে ক্রয়কৃত ৫ দশমিক ৮০শতক জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে জবরদখলে বাঁধায় দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ ইসমাইল তার স্ত্রী জেবুন্নেছাকে বাদি করে পরিকল্পিতভাবে সাজানো এ নালিশী মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জায়গার মালিক চকরিয়া পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের করাইয়াঘোনা গ্রামের মরহুম আবদুল খালেক সিকদারের ছেলে এমরানুল আহসান জানান, পৌরসভার ভরামুহুরী মৌজার বিএস ১০৮১ নম্বর খতিয়ানের ৬২৫ নম্বর বিএস দাগের ৫ দশমিক ৮০শতক জায়গা তিনি ও স্ত্রী ইসরাত জাহান ইতি ক্রয়সুত্রে মালিক। জায়গাটি রেজিষ্ট্রিমুলে ক্রয়ের পর তাদের নামে জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। বর্তমানে চারিদিকে ঘেরাবেড়া দিয়ে তিনি শান্তিপুর্ণভাবে ভোগ দখলে আছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত কিছুদিন ধরে প্রতিবেশি হাজারিকা হোটেলের মালিক অভিযুক্ত ইসমাইল ও তার স্ত্রী কোন ধরণের দলিল দস্তাবেজ ছাড়াই জোরপুর্বক তাঁর জায়গাটি জবরদখলে নেয়ার জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর সকালে জায়গাটি দখলে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ ইসমাইলসহ তার লোকজন। ওইসময় হামলা চালিয়ে পাথরের আঘাতে সিরাজুল ইসলাম নামের একব্যক্তি গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় জায়গাটির মালিক পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের করাইঘোনা গ্রামের মৃত আবদুল খালেক সিকদারের ছেলে এমরানুল আহসান বাদি হয়ে এদিন দুপুরে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে বিবাদি করা হয়েছে পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল, তার স্ত্রী জেবুননেছা, সহযোগি পালাকাটা গ্রামের মো.সিরাজসহ তিনজনকে। মামলার এজাহারে আরো ৭-৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
ভুক্তভোগী জায়গার মালিক এমরানুল আহসান অভিযোগ করেছেন, থানায় দায়ের করা অভিযোগটির ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা নোটিশ পাঠানোর পর ক্ষিপ্ত হন বিবাদি ইসমাইল। এর ধরে তিনি কৌশল অবলম্বন করে গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় তার স্ত্রী জেবুন্নেছা বেগমকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনা সাজিয়ে উল্টো গত ৩০ অক্টোবর আদালতে আমি ও আমার ভাই সাবেক পৌর কাউন্সিলরকে আসামি করে একটি সাজানো মামলা করেছেন। বর্তমানে আমার ক্রয়কৃত জায়গাটি দখলের জন্য ফের হামলা করার হুমকি দিচ্ছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।