চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া জলমহালটি উন্মক্ত রেখে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জলমহালটির নিলাম বন্ধ করে দেয়া হলে সরকার প্রতি তিন বছরে ১০লাখ টাকার রাজস্ব হারাবে। এতে লাভবান হবে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। তারা লোনা পানি ঢুকিয়ে প্রান্তিক কৃষকদেরও ক্ষতি সাধন করবে। পশ্চিম বড়ভেওলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ তুলেন ধরেন।
উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি নূর হোসেন অভিযোগ করে জানান; তারা এ জলমহালটি সাড়ে ৯লাখ টাকায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তিন বছরের জন্য ইজারা নিয়েছিল। এ বছর ইজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ বছরও এটি নিলাম দেয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। কিš‘ একটি স্বার্থান্বেষী মহল জলমহালটি উন্মুক্ত রেখে নিজেরা স্লুইচ গেটে জাল বসিয়ে মাছ ধরার জন্য চক্রান্ত করে আসছে। তারা নানাভাবে এ জলমহালটি ইজারা না দেয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠা”েছ। মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যরা জানান, এই জলমহালটির লীজ বন্ধ করা হলে সরকার ১০লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত, অপরদিকে স্বার্থান্বেষী মহলটি নিজেদের ইচ্ছে মতে জলমহালে সমুদ্র থেকে লোনা পানি ঢুকিয়ে এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষতি করবে।
জলমহালটি লীজ দেয়া হলে একদিকে সরকার একটি নির্দিষ্ট অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে এটি সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকায় জলমহালে যার যখন খুশি তখন লানা পানি ঢুকাতে পারবে না। এতে সরকার ও এলাকার কৃষক দুইই লাভবান হবে। এ ব্যাপারে পশ্চিম বড় ভেওলা ও ঢেমুশিয়ায় ইউনিয়নের কৃষকরা জানায়; জলমহালটি উন্মুক্ত রাখলে স্বার্থান্বেষী মহলের লাভ হবে, আর এটি নিলাম দেয়া হলে সরকার ও এলাকাবাসি উভয়েরই লাভ। এ জলমহালটি ইজারা দেয়ায় গত তিন বছরে এলাকার কৃষক ও কৃষির কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।